কলকাতা

বি-তে ভবানীপুর, বি-থেকেই ভারতবর্ষ’, জনসভা থেকে দেশজয়ের বার্তা দিলেন মমতা

আজ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জৈন মন্দিরে আরতির মাধ্যমে শুরু করলেন প্রচার। এরপর পদ্মপুকুরে নির্বাচনী জনসভা থেকে মমতার বার্তা, ‘বি থেকে শুরু ভবানীপুর, বি থেকেই শুরু ভারতবর্ষ। ভবানীপুর থেকেই শুরু ভারতবর্ষ। ভবানীপুর থেকেই বাংলা মুখ্যমন্ত্রী পাবে। ভবানীপুর থেকেই ভারতবর্ষ দেখবে।’ ভবানীপুর ভোটের পরেই যে টার্গেট দিল্লির মসনদ তা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূলনেত্রী। এদিনের সভা থেকেই নন্দীগ্রামে আঘাত পাওয়ায় ঘটনা নিয়ে সরব তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিনও ভবানীপুর নির্বাচনী কেন্দ্রের প্রত্যেক ভোটারের কাছে ভোটদানের আর্জি করেন নেত্রী। তিনি বলেন,’আমার দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। দলে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার লোকেরও অভাব নেই। কিন্তু, আমি সারাদিন যেভাবে কাজ করি আপনারা তা চাইলে অবশ্যই প্রত্যেকটা ভোট গুরুত্বপূর্ণ।তবে আপনারা যদি চান আমায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে তাহলে একটা করে ভোট দিয়ে আসবেন। ‘ বুধবারও একবালপুরের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘আপনাদের প্রত্যেকটা ভোট গুরুত্বপূর্ণ। একটা ভোট না পেলেও আমার ক্ষতি হয়ে যাবে। অনেকে ভাবছেন, দিদি এমনিই জিতে যাবেন। আবার বৃষ্টির মধ্যে ভোট দিতে যাব কেন। কিন্তু, দোহাই ওই কাজটি করবেন না। আপনাদের প্রতিটা ভোট আমার দরকার। ভোট না দিলে আমাকে পাবেন না। আমি না জিতলে তৃণমূলের মুখ্যমন্ত্রী, অন্য কেউ হবে, আমি নয়।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় নিয়ে গোটা দল আত্মবিশ্বাসী হলেও কোনও লড়াই যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হালকা, দায়সারাভাবে নেন না তা ভবানীপুরের প্রচারের প্রথম দিন থেকেই স্পষ্ট। জনসংযোগে কোনওরকম ফাঁক দিতে নারাজ তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতা বিজেপি বিধায়কদের দলবদল নিয়েও এদিন মন্তব্য করেন। বলেন, কয়েকটা আসন থেকে অনেকে চলেও এসেছেন। ৮ মাস ধরে কৃষক আন্দোলন চলছে। কেউ কথাই বলছে না। কৃষকদের জন্য আমি অনেক আন্দোলন করেছি।” এদিন ফের নন্দীগ্রামের ফলাফলে কারচুপির অভিযোগ তোলেন মমতা। কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে নন্দীগ্রামকে জুড়ে তিনি বলেন, “এই জন্য়ই আমি নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েছিলাম। কিন্তু ওরা কারচুপি করেছে। কোর্টে প্রমাণিত হবে।”