ভবানীপুর উপনির্বাচন মামলার শুনানিতে নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য সরকার, উভয়ের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল কলকাতা হাইকোর্ট । কেন ভবানীপুরেই শুধু উপনির্বাচন-সহ বিভিন্ন প্রশ্ন তুলেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। সূত্রের খবর, সেসব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী। এই মামলার শুনানি আজ শেষ হয়ে গেল। তবে রায়দান স্থগিত রেখেছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। মামলাটি নিয়ে হাই কোর্টে শুক্রবার হলফনামা জমা দেওয়ার কথা ছিল নির্বাচন কমিশনের । কিন্তু তা আজ দিতে পারেননি কমিশনের আইনজীবী। এরপরই তাঁকে একাধিক প্রশ্ন করেন বিচারপতিরা। ভবানীপুর উপনির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি ঘিরে প্রশ্ন তোলা হয়। কমিশনের জারি করা বিজ্ঞপ্তির ৬ এবং ৭ নং অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে, ভবানীপুরে উপনির্বাচন না হলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে বলে মুখ্যসচিব জানিয়েছিলেন। কারণ, এই কেন্দ্রে লড়ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই ৬ মাসের মধ্যে ভোট না হলে বড়সড় সংকট হবে। মুখ্যসচিবের উল্লিখিত আবেদনকে গুরুত্ব দিয়ে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল। এই নিয়েই এদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি কমিশনের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, কেন মুখ্যসচিবের ওই অংশটিকে গুরুত্ব দিয়ে শুধু ভবানীপুরে উপনির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হল? কেনই বা রাজ্যের অন্যান্য বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে সায় দিল না কমিশন? কিন্তু সূত্রের খবর, এসব প্রশ্নেরই উত্তর দিতে পারেননি কমিশনের আইনজীবী।