দিল্লির রোহিণী আদালতে গুলি চালানোর ঘটনায় আবার প্রশ্নের মুখে পড়ল দিল্লির পুলিশ কমিশনার পদে রাকেশ আস্থানার নিয়োগ। নরেন্দ্র মোদি–অমিত শাহ ঘনিষ্ঠ অফিসারকে দিল্লি পুলিশের শীর্ষ কর্তার পদে বসানো সত্ত্বেও রাজধানীর নিরাপত্তায় যে গলদ রয়েছে, তা নিয়ে সরব হয়েছে আম আদমি পার্টি। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে নানা বিতর্কে জড়িয়েছেন গুজরাট ক্যাডারের অফিসার আস্থানা। সিবিআইয়ে থাকাকালীন সংস্থার প্রধান অলোক বর্মার সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে অবসর নেওয়া অলোক বর্মার বিরুদ্ধে কেন্দ্র ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে। আর অবসরের ঠিক চারদিন আগে আস্থানার চাকরির মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে তাঁকে দিল্লির পুলিশ কমিশনার করা হয়। যদিও এই নিয়োগ ঘিরে আদালতে মামলা চলছে। দিল্লি পুলিশের দায়িত্ব দিল্লি সরকারের হাতে তুলে দেওয়ার দাবিতে গোড়া থেকেই সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। রোহিণী গুলি কাণ্ডের ঘটনায় পুরনো বিতর্ককে উস্কে দিয়েছে আপ নেতৃত্ব। দলের বিধায়ক সৌরভ ভরদ্বাজ বলেছেন, ‘সরকারের সবচেয়ে আস্থাভাজন ব্যক্তি দিল্লি পুলিশের শীর্ষ পদে বসে রয়েছেন। তা সত্ত্বেও এ ধরনের ঘটনা কীভাবে ঘটে? সব ধরনের নিয়ম অগ্রাহ্য করে কেন্দ্র তাদের পছন্দের ব্যক্তিকে শীর্ষ পদে বসিয়েছে। তাই কেন্দ্রও দায় এড়াতে পারে না। দিল্লি সরকারের হাতে দিল্লি পুলিশের দায়িত্ব তুলে দিলে নিয়োগের ক্ষেত্রে এইরকম পক্ষপাতিত্ব হত না।’ এদিকে, সিপিআই নেতা ডি রাজা গোটা ঘটনায় দায় চাপিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপরে। তবে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার যে অভিযোগ উঠেছে তা মানতে রাজি নন আস্থানা। তাঁর দাবি ‘আততায়ীরা আইনজীবীর ছদ্মবেশে থাকায় প্রথমে বোঝা যায়নি। বোঝা যেতেই ওই দু’জন খুনিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দিল্লি পুলিশ। দুই আততায়ী ও তারা যাকে মারতে এসেছিল সেই জিতেন্দ্র মান ওরফে গোগীই কেবল মারা গেছে। বাকিরা সুরক্ষিত রয়েছে।’