পদ্মপুকুরে যদুবাবুর বাজারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একই সঙ্গে সভা করবেন – এই জোড়া প্রচারের দিকে তাই নজর ছিল সকলেরই। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যা ইয়ের ভাষনেই বোঝা গেল ভবানীপুর উপ-নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে একশো শতাংশ আশাবাদী তিনি৷ নির্বাচনী প্রচারে বার বার সেই সুর শোনাগেছে তাঁর গলায়৷ রবিবার যদুবাবুর বাজারের জনসভায়ও বিজেপিকে আক্রমণ করার পাশাপাশি জয়ের বিষয়ে একই সুর শোনা যায় তাঁর গলায়৷ তিনি বলেন, ‘ভবানীপুর জেতার পরে অন্য রাজ্যেও যাবো৷ দেশ ছাড়া করব বিজেপি৷ গোটা ভারতবর্ষের প্রতিটি কোনায় কোনায় পৌঁছে যাব।’ সাম্প্রদায়িকতার প্রসঙ্গে বিজেপিকে আক্রমণ করার পর ভবানীপুরকে ছোট হিন্দুস্থান বলে দাবি করেন তিনি৷ এখানে হিন্দু, শিখ, জৈন, পারসিক, খ্রিস্টান – সবধর্মের মানুষ মিলেমিশে বসবাস করেন। আর এখান থেকেই নতুন লড়াই শুরু হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতিতে উপ-নির্বাচনে বিধি নিষেধ আরোপ করেছে নির্বাচন কমিশন৷ সেই নিয়ম মেনেই প্রচার চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ভ্যাকসিন নিলেও মাস্ক পরবেন, বিধি মেনে চলবেন৷’ এরপরই, বিজেপি আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘লকডাউনের রেশনের ব্যবস্থা করেছি৷ সকলে যাতে ভ্যাকসিন পান, তার ব্যবস্থা করেছি৷’ ঘূর্ণিঝড় গুলাব ধেয়ে তা মোকাবিলা করতে রাজ্য প্রস্তুত বলেও জানান৷ নিম্নচাপের সময় বিদ্যুৎ বন্ধ রাখার পরামর্শও দেন মমতা৷ অসমে পুলিশের গুলিতে নিহত দুই ব্যক্তির ঘটনা তুলে ধরে মমতা বলেন, ‘অসমে মানবাধিকার চলে গেলেও কোনও কমিশন যায় না৷ অথচ, বাংলায় কিছু না হলেও মানবধিকারকমিশন চলে আসে৷’