আজ যদুবাবুর বাজারে বিক্ষোভের পর ভবানীপুরে আইনশৃ্ঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি, তাঁর দাবি, ‘সাধারণ মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ভবানীপুরে ভোট হওয়া সম্ভব নয়। ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হোক।’ দিলীপের ওই মন্তব্যের পরই এনিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ভোট স্থগিতের দাবি নিয়ে সৌগত রায় বলেন, ‘প্রথমত, উনি আর রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদে নেই। এনিয়ে ওঁর বিবৃতি দেওয়ার অধিকার নেই। দ্বিতীয়ত ওঁর দাবি অবাস্তব ও অসম্ভব। আর দুদিন পরে নির্বাচন। আজ ওঁর বিরুদ্ধ স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ হয়েছে ভবানীপুরে। তার পাল্ট ওঁর দেহরক্ষী বিক্ষোভকারীদের দিকে রিভালবার তাক করেছিল। দিলীপবাবু ওখানে আশান্তি বাধাতে গিয়েছিলেন। কিছুটা সফলও হয়েছেন। এটাই ওঁরা প্রথম থেকে চেষ্টা করে চলেছেন যে গন্ডগোল করে ভোট স্থগিতের দাবি তুলে দেবেন। এরকম দাবিতে কান দেওয়া উচিত নয়। দিলীপবাবুর এরকম দাবি প্রত্যাখান করা উচিত।’ ফিরহাদ বলেন, ‘নির্বাচন মন্ডলী নির্বাচন করবেন। বিজেপি সবসময় ভোট বন্ধ করে মানুষকে বঞ্চিত করবে কেন? কেউ যদি গন্ডগোল করে থাকে তাহলে পুলিস তা দেখবে। ভোট বন্ধ হবে কেন? মানুষের অপরাধ কোথায়? ওদের সেন্ট্রাল ফোর্স রয়েছে। তাহলে কি এবার আমেরিকা থেকে ফোর্স আনাতে হবে প্রচার করার জন্য?’ উল্লেখ্য, আজ ছিল ভবানীপুর উপ নির্বাচনের প্রচারের শেষ দিন। এদিন প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন দিলীপ ঘোষ। যদুবাবুর বাজারে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়।