বারবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। সাংসদ পদ ছাড়তে চেয়ে স্পিকারের সময় চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু সময় মিলছে না স্পিকারের দপ্তর থেকে। শুক্রবার টুইটে নিজের সেই চিঠি প্রকাশ করে তাঁর বিলম্বের কারণ জানালেন আসানসোলের সাংসদ। ফলে বিষয়টি নিয়ে ফের রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে আলোচনা।তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলে যোগদান করেন। এরপরই অবশ্য জানিয়ে দিয়েছিলেন, সব নিয়ম মেনেই তিনি দলবদল করছেন। ছেড়ে দেবেন সাংসদ পদও। সেইমতো লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার (কাছে সময় চান তিনি। তাঁকে চিঠি লিখে, দিল্লি গিয়ে দেখা করার চেষ্টাও করেন। কিন্তু স্পিকার ব্যক্তিগত কাজে থাকায় বাবুল সুপ্রিয়কে সময় দিতে পারেননি। ফলে সেবার ইস্তফাপত্র না দিয়েই দিল্লি থেকে ফিরেছিলেন বাবুল। তার মধ্যে অবশ্য নিজের সংসদীয় তহবিলের সমস্ত অর্থ খরচের জন্য মঞ্জুর করে দেন। কিন্তু তাঁর অসমাপ্ত কাজ শেষ হয়নি এখনও। এখনও তিনি সাংসদ পদ ছাড়তে পুরোদস্তুর তৃণমূল নেতা হয়ে যেতে পারেননি। এর জন্য অবশ্য সাংবিধানিক জটিলতাকেই দায়ী করছেন তৃণমূল নেতা। টুইটে তিনি স্পিকারকে লেখা চিঠিগুলি প্রকাশ করে জানিয়েছেন, স্পিকারের কাছে সময় চেয়ে একাধিকবার তিনি চিঠিতে আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার করে তাতে সইও রয়েছে স্পিকারের দপ্তরের। তা সত্ত্বেও এখনও তাঁকে সময় দেওয়া হয়নি। স্পিকারের সঙ্গে দেখাও করতে পারেননি। এমনকী বাবুল সুপ্রিয়র হয়ে ওম বিড়লাকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। সময় পাওয়া যায়নি তাতেও। তাই সাংসদ পদে ইস্তফা দিতে দেরি হচ্ছে বলে টুইটে জানালেন বাবুল সুপ্রিয়।