কলকাতা পুজো

কলকাতার গঙ্গার ঘাটে নির্বিঘ্নেই চলছে প্রতিমা বিসর্জন

তিমা বিসর্জনের জন্য প্রস্তুত কলকাতা। পুরসভা ও পুলিশ একযোগে কাজে নেমেছে। প্রতিমা বিসর্জনের নীলনকশাও তৈরি। যদিও শুক্রবার দশমীতে কলকাতার বাড়ির প্রতিমা এবং ছোট বারোয়ারি পুজোগুলির প্রতিমাই বিসর্জন হবে। প্রায় চার হাজারেরও বেশি প্রতিমা বিসর্জন হয় কলকাতার গঙ্গাঘাটগুলিতে। তবে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে চারদিন নির্দিষ্ট করে দেওয়ার কারণে একদিনে খুব বেশি প্রতিমা নিরঞ্জন হবে না। শুক্রবার দুপুর থেকেই কলকাতার কয়েকটি ঘাটে চলছে প্রতিমা বিসর্জনের পালা। সন্ধ্যে পর্যন্ত নির্বিঘ্নেই চলছে বিসর্জন। সতর্ক রয়েছে পুলিশ প্রশাসন। এদিন কম প্রতিমা বিসর্জনের ফলে সবদিক দেখে নেওয়ার সুযোগ কলকাতা পুরসভা ও পুলিশের। কলকাতা পুলিশ আগেই জানিয়েছিল, ১৮ অক্টোবর, সোমবারের মধ্যে কলকাতার সমস্ত প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে। ফলে ধরে নেওয়া হচ্ছে, রবি ও সোমবারই কলকাতার বড় পুজোগুলি বিসর্জনের ব্যবস্থা করবে। সেইমতো কলকাতার ১৭টি গঙ্গার ঘাট চিহ্নিত করে সেখানে সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ ও পুরসভা। শুক্রবার বাগবাজার, কুমারটুলি ঘাটেও চলছে প্রতিমা নিরঞ্জনের পালা। দুপুর থেকেই নিয়ম মেনে সিঁদুর খেলায় মাতেন মহিলারা। দেখা গেল অনেকেই সঙ্গে করে করোনা টিকার শংসাপত্রটি নিয়ে এসেছিলেন। কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম এদিন দই ঘাটে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য যে কৃত্রিম জলাশয় উদ্বোধন করলেন। তিনি জানিয়েছেন, বিসর্জনে দূষণ নিয়ে অভিযোগ মেটাতে হেস্টিংসের দই ঘাটের কাছে গঙ্গার ঘাটে গঙ্গাজল দিয়েই হোসপাইপ ব্যবহার করে প্রতিমা গলানোর উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। তিনি আরও জানান, গত বছরের মতোই করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে, সতর্কতামূলক সব ধরণের ব্যবস্থা নিয়েছে পুরসভা। জাজেস ঘাট, বাজে কদমতলা ঘাট ও দই ঘাটে ক্রেন ও জেসিবি মেশিন মোতায়েন করা হয়েছে। এগুলি ছাড়াও আরও কয়েকটি ঘাটে বেশি সংখ্যক পুরকর্মী, পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।  গঙ্গাবক্ষে স্পিড বোটে চলছে নজরদারি।