লখিমপুরে কৃষক হত্যার ঘটনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে গ্রেপ্তার হয়েছেন। কিন্তু অজয় মিশ্র এখনও মন্ত্রিত্ব রয়েছেন। এবার তাঁকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে রেল রোকো আন্দোলনে নামলেন কৃষকরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রেল অবরোধ করলেন তাঁরা। এর জেরে অন্তত ১৬০টি ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হল। উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরে কৃষক হত্যার প্রতিবাদে সোমবার সকাল ১০টা থেকে ৪ টে পর্যন্ত এই রেল রোকো কর্মসূচি নিয়েছিল সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। সারা দেশের কৃষক সংগঠনগুলোর মাথায় রয়েছে এরা। মোর্চা জানিয়েছিল, শান্তিপূর্ণভাবেই এই আন্দোলন চালানো হবে। কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইতের অভিযোগ, ‘কেন্দ্র সরকার এখনও আমাদের সঙ্গে কথা বলেনি। তাই এই পদক্ষেপ।’ পাঞ্জাবের ফিরোজপুর ডিভিশনের চারটি বিভাগেই রেল অবরোধ করেছেন কৃষকরা। দেশের অন্যান্য জায়গাতেও রেল অবরোধ করা হয়েছে। লখনউ পুলিশের হুঁশিয়ারি, যাঁরা এই আন্দোলনে নামবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। জাতীয় নিরাপত্তা আইনেও অভিযোগ আনা হবে। রেল রোকো কর্মসূচির ছায়া পড়েছে এ রাজ্যেও। কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে ট্রেন অবরোধ করল বামেরা। পুরুলিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, নদিয়া সহ বিভিন্ন জায়গায় রেল লাইনে এদিন বসে পড়লেন আন্দোলনকারীরা। ওন্দাগ্রাম স্টেশনে প্রায় এক ঘন্টা অবরোধ চলার পর অবরোধকারীরা নিজে থেকেই অবরোধ তুলে নেন । এই রেল অবরোধের জেরে দক্ষিণ পুর্ব রেলপথের খড়গপুর আদ্রা শাখায় সাময়িক ভাবে ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয় । অবরোধ করা হয় মেদিনীপুরেও। ৩ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিলেন কৃষকরা। রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব মৌর্য এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রের আসা নিয়ে প্রতিবাদ করছিলেন তাঁরা। ফেরার সময় মন্ত্রীর কনভয়ের একটি গাড়ি কৃষকদের লক্ষ্য করে ছুটে যায়। চার কৃষক সহ আট জন মারা যান। অজয় মিশ্রের ছেলে আশিস মিশ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। বলা হয়, কৃষকদের চাপা দিয়েছিল যে গাড়ি, তাতে তিনি ছিলেন। পরে গ্রেপ্তার হন আশিস। যদিও অজয় মিশ্র ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোহ অস্বীকার করেন। কৃষকদের দাবি, অজয় মিশ্র মন্ত্রীর পদে থাকলে স্বচ্ছ তদন্ত হবে না। তাই তাঁর অপসারণ চেয়েই আজ রেল রোকো আন্দোলন।