মাদক মামলায় আরিয়ান খানের গ্রেপ্তারির পর রবিবার প্রভাকর শৈল নামের এক ব্যক্তির হলফনামাকে কেন্দ্র করে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়। হলফনামায় নাকি প্রভাকর জানান, তিনি কে পি গোসাভি (যাঁর আরিয়ানের সঙ্গে তোলা সেলফি ভাইরাল হয়) ও জনৈক স্যাম ডি’স্যুজার কথোপকথন শুনেছিলেন। যেখানে আরিয়ানের মামলার নিষ্পত্তি করার জন্য নাকি সমীর ওয়াংখেড়ের পক্ষ থেকে ২৫ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছিল। দরাদরির পর ১৮ কোটি টাকায় দফারফা হয়। যার মধ্যে ৮ কোটি টাকা নাকি সমীর ওয়াংখেড়ের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা হয়। প্রভাকরের দাবি, সেই টাকা স্যাম ডি’স্যুজার হাতেও দেওয়া হয়েছিল। এরপরই আবার পরিচালক হনসল মেহতা টুইটারে ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, “সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত তাঁর পদত্যাগ করা উচিত। নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করার দায় কি শুধু হাজতে থাকা মানুষদেরই?” হনসল মেহতার পাশাপাশি নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোকে একহাত নেন শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত। একটি ভিডিও শেয়ার করে তিনি অভিযোগ করেন, আরিয়ান মামলায় সাক্ষীকে দিয়ে সাদা কাগজে সই করানো হয়েছে। নিজের টুইটে প্রভাকরের ঘটনার উল্লেখও করেন তিনি। এরপরই মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনারকে চিঠি লিখেছে এনসিবি-র জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে অভিযোগ জানান, তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। সমাজের গণ্যমান্য ব্যাক্তিরাও এর নেপথ্যে রয়েছে। এভাবে অপ্রাসঙ্গিক আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে যেন তাঁকে ফাঁসানো না হয়, সেই অনুরোধ জানান এনসিবি কর্তা।