কলকাতা-সহ রাজ্যের অনেক জেলার ছবি নিয়েই কপালে ভাঁজ পড়ছে প্রশাসনিক কর্তাদের। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর জেলায় জেলায় ১৫০টির বেশি এলাকায় মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করেছে। করোনা সংক্রমণের নতুন ঢেউ এসে না গেলেও রাজ্যে ধীরে ধীরে বাড়ছে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা। হাসপাতালগুলিতেও বৃদ্ধি পাচ্ছে রোগী ভর্তি। অথচ পুজোর আগে চিত্রটা ছিল অন্য রকম। সেই সময়ে যেখানে রাজ্য জুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫০ থেকে ৫০০-র আশপাশে ছিল, এখন সেটাই হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এমন জেলার জেলাশাসকদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এর পরেই ওয়ার্ড ভিত্তিক মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। তিন জেলার তালিকা দেওয়া হয়েছে – উত্তর ২৪ পরগনায় ৫১টি কনটেনমেন্ট জোন, হাওড়ায় কনটেনমেন্ট জোন ১৪টি এলাকায় এবং জলপাইগুড়ি জেলায় ৯টি জায়গায় কনটেনমেন্ট জোন। তবে এর বাইরেও হগলি, মুর্শিদাবাদ সহ আরও কয়েকটি জেলার কিছু কিছু এলাকায় কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, গতকাল জানানো হয়েছিল হুগলির ১২টি ব্লকের, ২৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি ৮টি পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডকেও কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। করোনা সচেতনতা বাড়াতে এদিন মাস্ক বিলি করেন আরামবাগ পুরসভার প্রশাসক স্বপন নন্দী। রাস্তায় নেমেছিলেন উত্তরপাড়া পুরসভার প্রশাসকও। উত্তরপাড়া পুরসভার প্রশাসক দিলীপ যাদব জানিয়েছেন, আগের মতো তো নেই, বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে। যার করোনা হচ্ছে, পরিবারকে সাহায্য, বাড়িটাকে কেয়ার করছি। পুলিশকেও বলছি কড়াকড়ি। কাল ৮০ জনকে ধরে মাস্ক না পরার জন্য। উত্তর চব্বিশ পরগনার বারারাসাতের ৪ নম্বর ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গোটা জেলায় ৫৬টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।