এই পরাজয়ের পিছনে সাংগঠনিক দুর্বলতা বা মানুষের কাছে পৌঁছতে না পাড়াকে দায়ী করছেন না প্রাক্তন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা জাতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ ৷ তাঁর কাছে এই পরাজয়ের এক এবং একমাত্র কারণ তৃণমূলের সন্ত্রাস ৷ আর তাই তিন কেন্দ্রের প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার বিষয়টিকে মানতে নারাজ দিলীপ ৷ তাঁর কথায়, ‘‘ভোট হলে, মানুষের রায়ে পরাজয় হলে তো জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার প্রশ্ন ওঠে ৷’’ আজ দিনহাটা বিধানসভায় দেড় লক্ষের বেশি ও গোসাবা বিধানসভার উপনির্বাচনে প্রায় দেড় লক্ষ ভোটে হেরেছে বিজেপি ৷ অন্যদিকে, খড়দা কেন্দ্রে ৯৩ হাজারের কিছু বেশি ভোটে বিজেপি প্রার্থী জয় সাহাকে হারতে হয়েছে ৷ এই তিন কেন্দ্রেই বিজেপি প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৷ কিন্তু, দিলীপ ঘোষ এই জামানত বাজেয়াপ্ত মেনে নেওয়ার পক্ষে নন ৷ তাঁর কথায়, মানুষের রায়ে তাঁদের প্রার্থীরা হারেননি ৷ তৃণমূলের সন্ত্রাসের কাছে হেরেছে বিজেপি ৷ আর এই প্রসঙ্গে, গোসাবা ও খড়দা বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থীদের নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দিলীপ ঘোষ ৷ গোসাবার প্রার্থী সুব্রত মণ্ডলকে ওই কেন্দ্রের ৭টি দ্বীপের ভোটাররা চেনেন কি না, সে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দিলীপ ৷ পাশাপাশি খড়দা কেন্দ্রের তারকা প্রার্থী তথা রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের জয় নিয়েও প্রশ্ন তোলেন দিলীপ ৷ শোভনদেব নির্বাচন ঘোষণার পর মানুষের কাছে কতবার গিয়েছেন ? সেই প্রশ্ন তোলেন ৷ আর সেই শোভনদেব এবং সুব্রত জয় তাই মানুষের রায়ে হতে পারে না বলে মনে করেন দিলীপ ঘোষ ৷ এদিন উপনির্বাচনের ফলের পর একটি ভবিষদ্বাণী করতে শোনা যায় দিলীপকে ৷ তিনি বলেন, ‘‘আগামী দিনে রাজ্যে কোনও উপনির্বাচন হলে সেখানে রাজ্যের শাসক শিবির একশো শতাংশ আসন জিতবে ৷’’ দিলীপের এই মন্তব্যকে রাজনীতির কারবারিরা সরাসরি ছাপ্পাভোটের দিকেই ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন ৷ তবে, আশ্চর্যজনকভাবে মাত্র ৬ মাসের ব্যবধানে ৪ বিধানসভা উপনির্বাচনে নিজেদের ভোটের শতাংশ বাড়িয়েছে বামেরা ৷ বিশেষ করে খড়দার বাম প্রার্থী দেবজ্যোতি বিশ্বাস ৷ এনিয়ে দিলীপ ঘোষের তাচ্ছিল্য ভরা জবাব, ‘‘বিজেপি যাতে পুরোপুরি মানুষের সমর্থন না পায়, তাই সিপিএম এবং কংগ্রেসকে টিমটিম করে জ্বালিয়ে রাখতে চাইছে তৃণমূল ৷’’ তবে, হারের চুলচেরা বিশ্লেষণ দলের মধ্যে হবে বলে জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ ৷ কিন্তু, পরাজয়ের প্রধান এবং একমাত্র কারণ তৃণমূলের সন্ত্রাস ৷ যা দিনহাটা ও গোসাবাতে যথেচ্ছভাবে করেছে বলে অভিযোগ বিজেপির ৷