২ লক্ষ টাকার জুতো, ২০ লক্ষ টাকার ঘড়ি, ৫০ হাজার টাকার বেশি দামি শার্ট ও ৩০ হাজার টাকার বেশি দামি টি-শার্ট পরেন আরিয়ান খানের মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর শীর্ষ আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ে ৷ এনসিপি নেতা নবাব মালিকের এই অভিযোগ অস্বীকার করলেন এনসিবি কর্তা ৷ তাঁর দাবি, এসব গুজব ৷ তাঁর আইনজীবী বোন ও জেলবন্দি এক মাদক পাচারকারীর মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট করার যে অভিযোগ নবাব মালিক তুলেছেন, তারও কড়া ভাষায় জবাব দিয়েছেন সমীর ওয়াংখেড়ে ৷ মঙ্গলবার সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে তাঁর বোন ও একটি অজ্ঞাত পরিচয় ফোন নম্বরের মধ্যে হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট প্রকাশ করেন এনসিপি নেতা নবাব মালিক ৷ তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আপনাদের সঙ্গে একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট শেয়ার করছি ৷ এই চ্যাটগুলিতে ‘লেডি ডন’ ইয়াসমিন ওয়াংখেড়েকে মাদক মামলায় ধৃত এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছে ৷ তিনি তাঁর ভিজিটিং কার্ড ও ঠিকানাও শেয়ার করেছেন ৷ মাদক পাচারে অভিযুক্তের সঙ্গে কেন যোগাযোগ করেছিলেন এনসিবি অফিসারের বোন ?” এ প্রসঙ্গে সমীরের যুক্তি, “মিডলম্যান আমাদের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করেছিল…চলতি বছরের শুরুতেই মুম্বই পুলিশে সে একটি মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করেছিল ৷ কিন্তু তা প্রমাণিত হয়নি ৷ তারপর থেকে সলমনের পাচারকারীরা আমার পরিবারকে ফাঁদে ফেলতে চেষ্টা করছে ৷ এই প্রচেষ্টা চলতে থাকে…এর পেছনে রয়েছে মাদক পাচারকারীরা ৷” দামি পোশাক সংক্রান্ত অভিযোগের জবাব দিয়ে সমীর বলেছেন, “আমার দামি পোশাকের বিষয়ে যা বলা হয়েছে তা গুজব ৷ তাঁর (নবাব মালিক) এ বিষয়ে কোনও ধারণা নেই ৷” মালিক দাবি করেছিলেন যে, ২ লক্ষ টাকার জুতো, ৫০ হাজার টাকার বেশি দামি শার্ট, ৩০ হাজার টাকার বেশি দামি টি-শার্ট ও ২০ লক্ষ টাকারও বেশি দামি ঘড়ি পরেন সমীর ওয়াংখেড়ে ৷ তাঁর প্রশ্ন ছিল, “কীভাবে একজন সৎ অফিসার এত দামি জামাকাপড় কিনতে পারেন ? মানুষের উপর মিথ্যে অভিযোগ চাপিয়ে কোটি কোটি টাকা তোলা তুলেছেন তিনি ৷”