প্রতিদিনই বাড়ছে পেট্রোল ডিজেলের দাম। এই মর্মে বাস ভাড়া বাড়ানো নিয়ে বারবার রাজ্যের কাছে আবেদন জানান হয় বাস মালিকদের তরফে। কিন্তু আপাতত বাসভাড়া বাড়ানো হবে না বলে বাস মালিকদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বাস মালিকদের হাত ধরে বললাম, বাবু, তোমাদের অসুবিধা হচ্ছে, কিন্তু একটু বেয়ার করো। কারণ, এখনও কোভিড পরিস্থিতি, নোটবন্দির জন্য সাধারণ মানুষের হাতে টাকা নেই। নাভিশ্বাস উঠছে তাঁদের। তাই ভাড়া বাড়ানোর কথা ভেবো না। আমি অন্যভাবে তোমাদের পুষিয়ে দেব। বুধবার বাস ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে বাস মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ফিরহাদ হাকিম। ডিজেলের দাম যা দাঁড়িয়েছে তাতে বাস চালাতে পারছেন না বাস মালিকরা। রাস্তায় কমছে বেসরকারি বাসের পরিমাণ। তাই বাস ভাড়া বাড়াতে আর্জি জানালেও মন গলেনি সরকারের। তবে বাস মালিকদের আশ্বস্ত করা হয়েছে, যে এবার থেকে সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত বাস ব্যবহারে জোর দেওয়া হবে। যাতে এই জ্বালানি যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ও লাভের মুখ দেখে বাস মালিকরা। বাসমালিকদের সংগঠনের পক্ষ থেকে বৈঠকের পর জানানো হয়, সামান্য অনুদান নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছি। ৭ টাকা বাসভাড়া নিয়ে ১০০ টাকার ওপর ডিজেলে বাস চালানো সম্ভব নয়। মন্ত্রীও গোটা বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত, সরকারের সঙ্গে ফের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। তারপরই আমরা কিছু জানাতে পারব। আগামী ১৭ নভেম্বর ফের ভাড়া বাড়ানো নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বুধবারের বৈঠক শেষে ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ‘কেন্দ্র তেলের দাম বাড়াচ্ছে আর তার পাল্টা বাসের ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে, এটা করলে সাধারণ মানুষ মাঝপথে পেষিত হবে। তাই পরিবর্ত রাস্তা খুঁজে বের করতে হবে। বাসমালিকদের সমস্যা হচ্ছে জানি। তাই ভাড়া বাড়ানোর কথা না ভেবে চিন্তা ভাবনা চলছে কীভাবে বিকল্প রাস্তা বের করা যায়। এই তেলের দামে কখনই বাস চলতে পারে না, আমরাও ভর্তুকি দিয়ে বাস চালাচ্ছি। তবে বাসমালিকদের সমস্যা মেটাতে বিকল্প খোঁজা হচ্ছে। যদি তেমনটা হয় তাহলে গোটা দেশকে রাস্তা দেখাবে বাংলা।