ভোটের মহাযুদ্ধ শুরু। এবারের নির্বাচন তৃণমূলের কাছে বিশেষ চ্যালেঞ্জ। তৃণমূল নেতৃত্ব দিদির দূত নামযুক্ত গাড়ি ব্যবহার করে জেলায় জেলায় প্রচার চালাচ্ছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিদির দূত ট্যাবলোর উদ্বোধন করেছিলেন। আজ পশ্চিম মেদনীপুরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিদির দূত হয়ে জনসাধারণের কাছে তুলে ধরলেন ঘাসফুল শিবিরের উদ্দেশ্য। দিদির দূত ট্যাবলতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার ধরে রোড শো করেন। পতাকা, বেলুন ,আবির নিয়ে রোড শোতে সামিল হন হাজার হাজার দলীয় কর্মী ও সমর্থকরা। এই ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অভিনেতা দেব। আর সেই ঘাটালেই আজ সভা করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাতে যোগ দিয়েছেন এলাকার সমস্ত বিধায়ক, নেতারা। আর এই ঘাটালের বিশাল পদযাত্রা থেকে বার্তা দিলেন অধিকারীদের নিশানা করেই। ঘাটালের দীর্ঘ রোড শো শেষে অভিষেকের মুখে সেই মীরজাফর এবং বহিরাগত উবাচ। ক্ষোভ প্রকাশ করলেন নির্বাচনী নির্ঘণ্ট নিয়েও। এল সিবিআই প্রসঙ্গ। নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশ হয়েছে গতকালই। আট দফা নির্বাচন নিয়ে অখুশি ঘাসফুল শিবির। এ দিন এই প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, “মেদিনীপুর দু’ভাগে ভাগ করে ভোট করাচ্ছে। কেন করাচ্ছে, একজনের সুবিধে হবে। ১৬ টা আসন পূর্বের, ১৫টা আসন পশ্চিম মেদিনীপুরের। আমি বলছি ৩১ দফায় ভোট হলেও ওর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।” শেষবার মেদিনীপুরে এসে অভিষেক শুভেন্দুর নাম না নিয়েই বলেছিলেন, “তোর বাপ কে গিয়ে বল, বাড়ির পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি।” সেই কুকথা নিয়ে কম তর্ক হয়নি। গঙ্গা দিয়ে জল বয়েছে বিস্তর। কয়লাকাণ্ডে অভিষেকের বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই। তবে এদিনও অভিষেক ধরা দিলেন ঝাঁঝালো মেজাজেই। অঙ্ক কষে দলীয় কর্মীদের বললেন, “মেদিনীপুর কারও বাপের সম্পত্তি নয়। পশ্চিম মেদিনপুরের মানুষের কাছে অভিষেকের বার্তা, পশ্চিম মেদিনীপুর ১৫-০ করুন। বাংলায় ২৫০ হবে।” পাশাপাশি জানালেন, আগামী কয়েক দিনে আরও ২০ বার মেদিনীপুরে আসবেন তিনি। ভোটের ফল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী অভিষেকের উবাচ, “৫ বছর তোমাদের টিকি খুঁজে পাওয়া যাবে না।” বাংলা তার নিজের মেয়েকেই চায় – এই স্লোগানের সর্বাত্মক প্রচার শুরু হইয়ে গেছে জোর কদমে। অভিষেকের গলাতেও শোনা গেল একই স্লোগানের। তিনি বললেন, আগামিদিনে বাংলার মানুষ মেদিনীপুর মেয়েকে মুখ্যমন্ত্রী করব। মনীষী নিয়ে বিজেপির ভুলগুলিকে অনেকদিনই অস্ত্র করেছে তৃণমূল। বিদ্যাসাগরের মাটিতে রোড শো করতে এসে অভিষেক যে সেই সুযোগ ছাড়বে না তা বলাই বাহুল্য। অভিষেক বললেন, “বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে, এই নির্বাচনে তাদের জবাব দেওয়া হবে। বীরসিংহের বীর সন্তানের মূর্তি যার নেতৃত্বে ভাঙা হয়েছে. যে তার পদলেহন করেছে, তাঁকে জবাব দেবেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত, এই বার্তা শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গেই।” তিনি এও বলেন “ইডি, সিবিআই দেখিয়ে আমায় লাভ নেই। আমার শিরদাঁড়া ফর সেল নয়। যে বেচে দিয়েছে সেও মানুষ আমিও মানুষ। আমায় ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।” কঠিন সময়ে লড়াইয়ের ময়দানে দলীয় কর্মীদের মনোবল যাতে অটুট থাকে তা নিশ্চিত করতে তাঁর ভোকাল টনিক,সবুজ আবির কিনে রাখো। ২রা মে দোল খেলব আমরা।