ক্ষমতায় এলে শীতলকুচির ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে বলে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধায়। উত্তর দমদমে এদিন তাঁর সভা ছিল। সেখান থেকেই ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলেন, বিজেপির দাপটের কাছে মাথানত না করার জন্যই ওই চারজনকে গুলি করে মারা হয়েছে। তাঁরা শুধু বাংলার মানুষ বলেই তাঁদের গুলি করা হয়েছে, মন্তব্য করেন অভিষেক। শনিবার কোচবিহারের শীতলকুচিতে চার সাধারণ ভোটারের উপর কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোর ঘটনা ‘পূর্বপরিকল্পিত’ বলে দাবি করেছে তৃণমূল। সে সবের তোয়াক্কা না করে রবিবার দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘বাড়াবাড়ি করলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।’ সেই সূত্র ধরেই মোদি, শাহকে খোঁচা দিলেন তৃণমূল সাংসদ। বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে হাত জোর করে অনুরোধ করব, ন্যূনতম বিবেকবোধ থাকলে দিলীপ ঘোষকে দল থেকে বহিষ্কার করুন। গোটা ঘটনায় আপনাদের যে হাত নেই, তা প্রমাণ করতে হবে। আপনারা পদক্ষেপ না করলে আপনাদের রাজ্য সভাপতির কথাই মেনে চলতে শুরু করবে কিছু মানুষ।’ বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে কমিশনে রিপোর্ট দিয়ে গত কাল জানিয়েছেন, গ্রামবাসীরা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ফেলে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিল। আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালিয়েছে বাহিনী। সে প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, যাঁদের গুলি করে মারা হয়েছে, তাঁদের হাতে কোনও অস্ত্র ছিল না। আর যদি তাঁরা ঘিরে ধরে বাহিনীকে, তাহলে আকাশে গুলি চালিয়ে কেন তাঁদের ছত্রভঙ্গ করা হল না? কেন তাঁদের বুকে চালানো হয়েছে? হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘নেতাই, নন্দীগ্রামের পর গত ১০ বছরে এমন গণহত্যা ঘটেনি বাংলায়। যত বড়ই মাথা থাকুক না কেন, টেনে বের করব।’