৫ই সেপ্টেম্বর ধুপগুড়ি বিধায়নসভায় উপনির্বাচন। রবিবারই শেষ হচ্ছে প্রচারের মেয়াদ। শনিবার ধুপগুড়িতে প্রচার করেন তৃণণূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেই প্রচারসভা থেকেই ধুপগুড়িবাসীকে বড় প্রতিশ্রুতি দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিশানায় শুধুই বিজেপি! ‘ইন্ডিয়া সরকার যদি জেতে, দেশ যদি জেতে, রান্নার গ্যাস ৫০০ টাকায় এসে নামবে’, ধূপগুড়িতে উপনির্বাচনের প্রচারে বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে লোকসভা ভোটের আগে মধ্যবিত্তের হেঁশেলে স্বস্তি। কমল রান্নার গ্যাসের দাম। কত? সিলিন্ডার প্রতি ২০০ টাকা। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে সিলিন্ডার প্রতি রান্নার গ্যাসের দাম এখন ৯০০ টাকা। অভিষেক বলেন, ‘ইন্ডিয়ার সরকার অর্থাৎ বিরোধীরা যে জোট করেছে, ইন্ডিয়া সরকার যদি জেতে দেশ যদি জেতে, রান্না গ্যাস ৫০০ টাকায় এসে নামবে। আমাদের প্রতিশ্রুতি আপনাদের, কথা দিয়ে কথা রাখার নাম তৃণমূল ‘। জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে উপনির্বাচন ৫ সেপ্টেম্বর। ভোট গণনা ৮ সেপ্টেম্বর। একুশের বিধানসভা নির্বাচন ধূপগুড়ি কেন্দ্রটি গিয়েছিল বিজেপি দখলে। প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েই বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন বিষ্ণুপদ রায়। ২৫ জুলাই প্রয়াত হন তিনি। সেই শূন্য আসনেই এবার উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এদিন ধূপগুড়িতে নির্বাচনী জনসভায় অভিষেক বলেন, ‘বিজেপিরা লোকেরা এসে অনেক বড় বড় ভাষণ দিচ্ছে। আমি শুনলাম, কিছু জায়গায় নাকি টাকা-পয়সা বিলি করছে। কারণ, আপনার টাকা মেরে এরা। যে যে ভাষায় বোঝে, তাকে সেই ভাষায় উত্তর দিন। বড় ফুলের থেকে টাকা নিন, আর জোড়াফুলে ভোট দিন। তবেই এদের জামানত জব্দ হবে। মোদীর হাতে যদি রিপোর্ট কন্ট্রোল থাকে, আপনার হাতে ইভিএমের বোতাম আছে। মোদীর হাত টাকা বন্ধের রিমোট থাকলে মানুষের হাতে ইভিএমের বোতাম। আপনি ইভিএমের বোতাম টিপবেন, ৪৪ ভোল্ট! দিল্লিতে ছটফট করবে’। অন্যদিকে তাঁর সাফ ঘোষণা, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই ধুপগুড়ি মহকুমা হবে। এদিনের সভায় স্থানীয়দের চাহিদা জানতে চান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন অনেকেই ধূপগুড়িকে পৃথক মহকুমা করার দাবি তোলেন। উপনির্বাচনের আগে স্থানীয়দের সেই দাবিতেই মান্যতা দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘আমি কথা দিয়ে কথা রাখি। আমি কথা রাখার ছেলে। আমি দাবি শুনে বলতে পারতাম, ১ বছর, দেড় বছর, ২ বছর পর হবে। দেখছি দেখবো বলতে পারতাম। বলতে পারতাম মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানাবো। কিন্তু আমি নিজের কাঁধে দায়িত্ব নিচ্ছি। আমি প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছি যে ধুপগুড়ি মহকুমা হবে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই ধুপগুড়ি মহকুমা হিসাবে ঘোষণা হবে। এখন থেকে সবুজ আবির খেলতে শুরু করুন।’