দেশ

কয়েক মাসেই দ্বিতীয় স্থানে উত্থান তৃণমূলের, ‘সবে তো শুরু’, ত্রিপুরার ফলে ‘খেলা শুরুর’ হুঁশিয়ারি অভিষেকের

ত্রিপুরায় লাগাতার সন্ত্রাস ও হামলার মুখে বারবার পড়তে হয়েছে তৃণমূলকে। তাও বুক চিতিয়ে লড়াই করে পুরভোটে প্রধান বিরোধী দলের আসনে উঠে এসেছে তৃণমূল। তাই ত্রিপুরার ফলাফলকে পরাজয় হিসেবে না দেখে ‘নৈতিক জয়’ হিসেবেই দেখছে তৃণমূল কংগ্রেস। পুরভোট এবং নগর পঞ্চায়েতের নির্বাচনে একটি মাত্র সিটেই খাতা খুলতে সমর্থ হয়েছে তারা। আমবাসা নগর পঞ্চায়েতের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী সুমন পাল। এই জয়ের পাশাপাশি ভোটের নিরিখে দ্বিতীয় স্থান পাওয়ার জন্য ত্রিপুরায় এই মুহূর্তে প্রধান বিরোধী দল তৃণমূল। ত্রিপুরায় মাত্র কয়েকমাসের লড়াইয়ে ভালো ভোটব্যাঙ্ক বাড়িয়েছে তৃণমূল। তাতে আপ্লুত তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। ঠিকঠাক ভোট হলে পুরভোটে ভালো রেজাল্ট করত তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এই ফলেও খুশি নেতৃত্ব। ত্রিপুরার তৃণমূল কর্মীদের মনোবল বাড়াতে টুইটে অভিষেক জানিয়েছেন, ‘অত্যন্ত সামান্য উপস্থিতি থেকে একটি দলের পক্ষে পুরভোটে সফল ভাবে নির্বাচনে লড়া এবং ২০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে প্রধান বিরোধীর ভূমিকায় উঠে আসা সত্যিই অভূতপূর্ব ব্যাপার। মাত্র তিন মাস আগেই ত্রিপুরায় রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করেছিলাম আমরা। আর ত্রিপুরায় গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে কোনও সুযোগ ছাড়েনি বিজেপি। সাহসিকতার জন্য ত্রিপুরার দলীয় কর্মীদের অনেক অভিনন্দন।’  টুইটে অভিনন্দন জানিয়ে কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘ত্রিপুরায় তৃণমূলের দু’মাসের সংগঠনকে ঠেকাতে এত হামলা, মামলা এবং তাণ্ডব চালানো হয়েছে। তার পরেও বহু ওয়ার্ডে দ্বিতীয় হয়েছে তৃণমূল। আমবাসা ওয়ার্ডে জিতেছে দল। দলের লড়াই আর মানুষের সমর্থনকে ধন্যবাদ।’