কলকাতা

বিপ্লব দেব এতই নির্লজ্জ যে সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশও মানছেন না: অভিষেক

ত্রিপুরায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের উপর হামলার ঘটনায় বিপ্লব দেবের সরকারকে তুলোধনা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ টুইটে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি৷ তাঁর দাবি, ত্রিপুরায় আইনশৃঙ্খলা একেবারে ভেঙে পড়েছে ৷ থানায় হামলার একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে অভিষেক লিখেছেন, “বিপ্লব দেব এতটাই নির্লজ্জ হয়ে উঠেছেন যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকেও তিনি পাত্তা দিচ্ছেন না ৷ আমাদের সমর্থকদের ও মহিলা প্রার্থীদের সুরক্ষা না-দিয়ে তিনি বারবার গুন্ডা পাঠিয়ে আক্রমণ চালাচ্ছেন ৷ বিজেপির আমলে ত্রিপুরায় গণতন্ত্র পরিহাসে পরিণত হয়েছে ৷” এই অভিযোগ করে হ্যাশট্যাগে নটমাইইন্ডিয়া লিখেছেন অভিষেক ৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্রিপুরা সফরের ২৪ ঘণ্টা আগেই আবারও উত্তেজনার পারদ চড়ে প্রতিবেশী রাজ্যে ৷ পৌরসভা নির্বাচনের আগে আগরতলা সফররত তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে ঘিরে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ত্রিপুরা ৷ আগরতলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে পূর্ব আগরতলা মহিলা থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অভিযোগ উঠেছে ৷ থানাতেই হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী ৷ হামলায় তৃণমূলের বেশ কয়েকজন কর্মী জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ ৷ সেই সময় থানায় উপস্থিত ছিলেন কুণাল ঘোষ, সুস্মিতা দেব সহ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব ৷ ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরায় পৌরসভা নির্বাচন ৷ তার প্রচারে কিছুদিন ধরেই সেখানে থেকে প্রচার চালাচ্ছেন সায়নী ঘোষ ৷ আগরতলায় ঘাঁটি গেড়েছেন কুণাল ঘোষ, সুস্মিতা দেব-সহ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব ৷ তাঁরা যে হোটেলে থাকছেন, রবিবার বেলা ১১টা নাগাদ সেখানে যায় মহিলা পুলিশ বাহিনী ৷ সায়নীকে থানায় নিয়ে চাইলে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে পুলিশের বাক-বিতণ্ডা শুরু হয় ৷ এরপর পুলিশের সঙ্গেই থানায় যান সায়নী সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতারা ৷ পূর্ব আগরতলা থানায় নিয়ে গিয়ে সায়নী ঘোষকে যখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, তখনই কয়েকজন থানায় হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল ৷ মাথায় হেলমেট পরে তৃণমূল কর্মীর গাড়ি ভাঙচুর ও কর্মী সমর্থকদের মারধর করা হয়।