আজ সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ২৬ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে ধর্মতলার মেয়ো রোড সভা অনুষ্ঠিত হল। এদিন মঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের মানসিকতা নিয়ে বলেন, ‘আমি চিকিৎসার জন্য বাইরে গিয়েছি। সংবাদমাধ্যমে এমন হাওয়া তোলা হল যে আমি নাকি আর ফিরব না। দেখেছেন? দেখেছেন? আমার পদবি মোদী নয়, আমার চোকসি নয়, আমার পদবি মালিয়া নয়, আমার পদবি বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা মাথা নীচু করি না। নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা মাথা উঁচু করে লড়তে জানি। মাথা নীচু করে বশ্যতা স্বীকার করে দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণ করতে জানি না।’ বিরোধী দলনেতাকে নিশানা করে এদিন অভিষেক বলেন, ‘মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে আমরা গণতান্ত্রিক ভাবে পঞ্চায়েত জিতেছি। বিরোধীরা বেশি মনোনয়ন জমা দিয়েছে।’ ‘বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আমায় বনগাঁয় ঠাকুর বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি। ওদের অনুমতি নিয়ে মন্দিরে ঢুকতে হবে। সুব্রত ঠাকুর নিজের বুথে হেরেছে। দিলীপ ঘোষ নিজের বুথে হেরেছে। বিজেপি রাজ্যসভাপতি নিজের বুথে হেরেছে। শুভেন্দু অধিকারী পুরসভা ভোটে নিজের বুথে হেরেছেন।’ এদিন মিডিয়াকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, ‘মিডিয়ার লোকজন তদন্ত করে না। মানুষকে কলুষিত করেন। এটা র্যাগিং নয়? কোনও বাপের ব্যাটা থাকলে বলুক দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে মৃত্যু বরণ করেবে।’ অন্যদিকে লিপস অ্যান্ড বাউন্সের অফিসে ইডির তল্লাশি অভিযান নিয়েও এদিন মুখ খোলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘যেদিন এসেছি পররে দিন ইডিকে পাঠিয়ে দিয়েছে। সেখানে আমার অফিসে গিয়ে ১৬টা ফাইল ডাউনলোড করে দিয়েছে। এবার আমি যদি প্রশ্ন করি যে ৭ দিন পর ওই ফাইলগুলি সিবিআই আমার অফিস থেকে উদ্ধার করত, তখন এই সংবাদমাধ্যমই প্রচার করত, সংবাদমাধ্যমের অফিস থেকে কলেজের লিস্ট পাওয়া গিয়েছে।’