সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হয়ে দ্রুত ভিন রাজ্যে কাজ শুরুর পরিকল্পনা অভিষেকের। দলের এই বড় পদে এসেই সাংসদ জানিয়ে দিয়েছিলেন, তৃণমূলের লক্ষ্য ৫৪৩ আসন, ভিন রাজ্যে যেখানেই প্রার্থী দেওয়া হবে ভোটে জেতার জন্যই দেওয়া হবে। সেই কথা মাথায় রেখেই আগামী মাসে অর্থাত্ অগস্টের শুরুতেই ত্রিপুরা যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনিতেই তৃণমূলের শহিদ দিবস পালন এবার ভার্চুয়ালি গোটা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শোনানো ও দেখানো হবে। উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, অসম, বিহার এমনকি দিল্লিতেও। আর সেখানকার দায়িত্বে রয়েছেন অভিষেক নিজে। ত্রিপুরায় সবচেয়ে বেশি জায়গায় পালন হবে শহিদ দিবস। ত্রিপুরায় ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পর বামশক্তি ক্ষয়িষ্ণু হয়েছে। একা মানিক সরকারের পক্ষে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করা অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে। কংগ্রেস নেই বললেই চলে, আর সেই ফাঁকা জায়গা পূরণ করতেই ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল। এমনিতেই মুকুল রায়ের হাত ধরে ত্রিপুরাতে ভালো সংগঠন বানিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু তারপর সেই সংগঠন ভেঙে যায় মুকুলের বিজেপিতে যাওয়ায়। আবার মুকুলের প্রত্যাবর্তনে বদলেছে ত্রিপুরায় বিজেপির চিত্র। আর সেই সুযোগকে আর সংগঠনকে মজবুত করতে ত্রিপুরা যাত্রা অভিষেকের। বছর দেড়েক বাদে ত্রিপুরায় নির্বাচন, তার আগেই তৃণমূলের ঘাঁটি শক্ত করতে এখন থেকেই আদাজল খেয়ে নামতে চাইছেন অভিষেক। ইতিমধ্যেই উত্তর ত্রিপুরা, উনকোটি, ধলাই-সহ বিভিন্ন জেলায় তৃণমূলে যোগদানের প্রবণতা বেড়েছে। ত্রিপুরায় উপজাতিদের মধ্যেও প্রভাব বিস্তার করার সম্ভাবনা বাড়ছে বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। উপজাতিদের নানান অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বার্তা বা উপস্থিত থাকছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। আর সেই জমিতেই চাষ করতে যাচ্ছেন অভিষেক।