একসময়কার নামী ফ্যাশন ডিজাইনার। সেই তিনি এবার ফ্যাশান ছেড়ে পা রেখেছেন রাজনীতির আঙিনায়। যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। হয়েছেন দলের রাজ্য মহিলা মোর্চার সভাপতিও। কিন্তু এখন তাঁর মুখের ভাষা শুনে তাঁকে মাঝপথে ফেলেই পালাতে শুরু করেছেন দলেরই কর্মীরা। মুখ খুললেই বার হচ্ছে গরল। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের আগেই যৌনকর্মী বলে দেগে দিয়েছেন তিনি, আর এবার তো নিজের প্রতিদ্বন্দ্বীকেই কন্ডোম বিক্রেতা বলে দেগে দিয়েছেন তিনি। আর তার জেরেই ক্ষোভ ছড়িয়েছে রাজ্যের বিশিষ্টমহল সহ আসানসোলের বুকেও। ক্ষোভ ছড়িয়েছে বিজেপির অন্দরেও। এমনকি নির্বাচন কমিশনের কাছেও চলে গিয়েছে নালিশ। এব মিলিয়ে এবার নিজেই বিপাকে পড়ে গিয়েছেন আসানসোল দক্ষিনের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল। পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল এমনিতেই রাজনৈতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ঝাড়খন্ড ঘেঁষা এই শহরে তৃণমূলের প্রভাব থাকলেও পর পর দুটি লোকসভা নির্বাচনে সেখানে বাজিমাত করেছে বিজেপি। এমনকি তৃণমূলের ঘরে সিঁদ কেটে দলে টেনে নিয়েছে আসানসোলে পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারিকেও। এবার কার্যত আসানসোলের ২টি আসনেই বাজিমাতের হিসাব কষছে বিজেপি। কিন্তু তাঁদের সেই চেষ্টায় কার্যত জল ঢেলে দিয়েছেন খোদ দলেরই প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল। আসানসোল দক্ষিন আসনে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন অগ্নিমিত্রা। আবার এই আসনেই রয়েছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী সায়নী ঘোষ। সেই সায়নীকে আক্রমণ শানিয়ে অগ্নিমিত্রা বলেছেন, ‘ভোটে হেরে, ২ মে’র পর উনি কন্ডোমের দোকান খুলবেন নাকি সিনেমায় নামবেন তা উনিই জানেন।’ অগ্নিমিত্রার এই মন্তব্য নিয়েই এখন বড়সড় বিতর্ক দেখা দিয়েছে রাজ্যজুড়ে। অভিযোগ অগ্নিমিত্রার এই মন্তব্য শুধু নির্বাচনের বিধিভঙ্গই নয়, নারী সমাজের কাছে চূড়ান্ত অবমাননাকরও। বাংলার বিদ্বজন সমাজ এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন।