উলুবেড়িয়ার সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রামের হারছেন বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। যার পাল্টায় তৃণমূলের তরফে সেদিন টুইট করে জানানো হয়, ‘দিদি নন্দীগ্রাম থেকে জিতছেনই। তাই অন্য কোনও আসন থেকে তাঁর লড়াইয়ের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। বাংলার মানুষকে বিভ্রান্ত করা বন্ধ করুন, আপনার মিথ্যাচার প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। বরং ২০২৪-এ নিজের জন্য নিরাপদ একটি আসন খুঁজে নিন। কারণ, আপনি বারাণসীতে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়বেন।’ আর তৃণমূলের এই টুইটের পাল্টা দিতে গেয়ে ফের কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার সোনারপুরের সভা থেকে ফের একবার আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মোদি জানিয়েছেন নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হারছেন। তাই রাজ্য ছেড়ে এবার অন্য রাজ্যে ভোটে দাঁড়াতে চাইছেন মমতা। মোদি এদিন জানিয়েছেন, ‘এখন দিদির দল বলছে বারাণসী থেকে ভোটে লড়বে। এর থেকে দুটি কথা স্পষ্ট হয়ে গ্যাছে। প্রথমত দিদি বাংলায় হার মেনে নিয়েছেন। দ্বিতীয়ত দিদি বাংলার বাইরে জায়গা খুঁজতে শুরু করেছেন। আমার বারাণসীর মানুষ আপনাকে বহিরাগত বলবেন না। আমার কাশীর মানুষের মন বাংলার মানুষের মতই উদার। আপনার কাছে অনুরোধ বারাণসীর মানুষের উপর রাগ করবেন না।’ প্রসঙ্গত, বিজেপিকে সর্বভারতীয় স্তরে চ্যালেঞ্জ জানানোর মত মুখ হিসেবে একমাত্র রয়েছেন মমতা। দেশের বিরোধী শক্তিদের একজোট হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে দাঁড়ানো নিয়ে এমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। তাই ২০২১-এর নির্বাচনেই বাংলায় তৃণমূলের কোমড় ভেঙ্গে দিতে ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পিরিটকে নষ্ট করে দিতে ‘ডেইলি প্যাসেঞ্জারি’ করছেন মোদি-শাহ, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ বিজেপির অন্দরেই খবর রয়েছে আগামীর লোকসভা নির্বাচন অর্থাত্ ২০২৪-বিরোধীদের প্রধান মুখ হতে পারেন মমতা। আর সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের বাইরেও মোদির বিরুদ্ধে প্রচারে জোর দেবেন মমতা। যদিও বারাণসী কেন্দ্র নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মোদি এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রাম ভোটে দাঁড়ানো নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি প্রধানমন্ত্রী। সোনারপুরের জনসভা থেকে শনিবার মোদি জানিয়েছেন, ‘শুনেছি তৃণমূলের মধ্যে গভীর আলোচনা চলছে। নন্দীগ্রামে দিদির দাঁড়ানো খুব বড় ভুল হয়েছে। নন্দীগ্রামে হার নিশ্চিত জেনে অন্য আসনে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু দুটি আসনেই হারলে তৃণমূলের পথ চলাই সমস্যা হয়ে যাবে। মমতা সঠিক বুদ্ধি শোনেন না, ভুল বুদ্ধি শোনেন।’