দেশ

শিক্ষামন্ত্রীর ইস্তফার পর আবাসনমন্ত্রীকে শিক্ষা দপ্তরের অতিরিক্ত দায়িত্ব নীতীশ সরকারের

শিক্ষামন্ত্রীর ইস্তফার পর আবাসনমন্ত্রী অশোক চৌধুরিকে শিক্ষা দপ্তরের অতিরিক্ত দায়িত্ব দিল নীতীশ কুমারের সরকার। দাগি মন্ত্রীর ছাপ থাকায় এবং সেকারণে আরজেডি–র নিশানা থেকে বাঁচতে এদিনই শিক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন মেওয়ালাল চৌধুরি। গত তিন আগেই নীতীশ কুমারের মন্ত্রিসভার ১৪ জন সদস্যের সঙ্গে শপথ নিয়েছিলেন মেওয়ালাল। অশোক চৌধুরি আদতে একজন দলিত নেতা। ২০১৮ সালে কংগ্রেস ছেড়ে জেডিইউ–তে যোগ দেন। এর আগে আরজেডি–তেও ছিলেন তিনি। রাবড়ি দেবী সরকারের সময় কারামন্ত্রী ছিলেন রাজ্যের। মেওয়ালালের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলার সঙ্গেই আরজেডি অভিযোগ করেছিল, কেন কোনও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিধায়ককে মন্ত্রিসভার সদস্য করা হয়নি। তারপরই দলিত নেতা অশোক চৌধুরিকে শিক্ষা দপ্তরের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া আসলে বিরোধীদের চুপ করানোর কৌশল বলেই মনে করছেন কূটনীতিকরা। ভাগলপুর কৃষি বিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে তিনবছর আগে তারাপুরের বিধায়ক মেওয়ালালের নামে পুলিশে মামলা হয়েছিল। সেকারণে তাঁকে জেডিইউ থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছিল। কিন্তু পরে ফের দলে ফিরে আসেন তিনি। ২০১৭ সালের সেই তদন্ত এখনও চলছে। আরজেডি মেওয়ালালের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলার পর বৃহস্পতিবার তাঁর পদত্যাগের পরই জেডিইউ–র মুখপাত্র সঞ্জয় সিং দাবি করেন, তাঁদের নেতা নীতীশ কুমার কোনওরকম দুর্নীতি যে বরদাস্ত করবেন না মেওয়ালালের পদত্যাগই তার প্রমাণ।