আগামীকাল দিল্লি যাচ্ছেন না রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। কাল মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষয়ক্ষতি-পর্যালোচনা বৈঠকে থাকবেন তিনি। এই বৈঠকে থাকবেন অন্যান্য দফতরের সচিবরাও। এদিকে কালই দিল্লিতে কাজে যোগ দিতে মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু বদলি বিতর্কের পর রবিবারও নবান্নে যান মুখ্যসচিব। এদিন বিকেলে নবান্নে আসেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী তথা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়। বেশ কিছু ক্ষণ নিজের ঘরেই কাটালেন তিনি। নবান্ন সূত্রেই জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেল পর্যন্ত আলাপনকে দিল্লি যাওয়ার প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র দেয়নি রাজ্য সরকার। এমনকি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধ মেনে কেন্দ্রীয় সরকারও তাদের নির্দেশ প্রত্যাহার করেনি। তবে ভবিষ্যতে যদি এই দ্বন্দ্ব আদালতে গড়ায় ও আলাপনবাবুকে জবাবদিহির মিখে পড়তে হয় তাহলে আলাপনবাবু এটা বলতে পারবেন যে রাজ্য তাঁকে ছাড়েনি। আর রাজ্য রিলিজ না করলে তিনি কখনই কেন্দ্রের চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন না। নিয়মানুযায়ী রাজ্য সরকারের তরফে সংশ্লিষ্ট আমলাকে এবং কেন্দ্রকে চিঠি দেওয়া হলে তবেই ওই আধিকারিক কেন্দ্রীয় সরকারের কাজে যোগ দিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে যখন রাজ্য সরকার দু’পক্ষকেই চিঠি দেয়নি, তখন ধরে নিতে হবে আলাপন রাজ্যের মুখ্যসচিব হিসেবেই কাজ চালিয়ে যাবেন। আগামীকাল খাতায়কলমে এদিনই আলাপনবাবুর অবসর নেওয়ার দিন। যদিও রাজ্য সরকার মুখ্যসচিবের পদে তাঁর থেকে যাওয়ার জন্য কেন্দ্রের কাছ থেকে তাঁর চাকরির এক্সটেনশান চেয়েছিল। এই এক্সটেনশান ২ দফায় ৩ মাস করে মোট ৬ মাস বাড়ানো যায়। কেন্দ্র সরকার ৩ মাসের অনুমোদন দিলেও চিঠি পাঠিয়ে আগামীকালই তাঁকে দিল্লির নর্থ ব্লকে কর্মিবর্গ মন্ত্রকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল গত শুক্রবার রাতে। সেই হাজিরা আবার সকাল ১০টার মধ্যে দেওয়ার কথা। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি তাতে আগামীকাল যে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি যাচ্ছেন না সেটা একদম নিশ্চিত।