আজ দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবায় নির্বাচনী জনসভা করেন তিনি। গোসাবা থেকে তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হন বিজেপির ‘চাণক্য’। প্রতিশ্রুতি দেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে সুন্দরবনকে পৃথক জেলা ঘোষণা করা হবে। গত বছর মে মাসে আমফান ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সাগর তীরবর্তী জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনার। উঠে এসেছিল ত্রাণ দুর্নীতির কথা। এদিন শাহ সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। আমফানের কেন্দ্রী ত্রাণ কোথায় গেল তার জবাবদিহি দাবি করেন মমতার থেকে। অমিত শাহের প্রতিশ্রুতি, ‘বিজেপি ক্ষমতায় এলে আমফান ত্রাণ দুর্নীতির তদন্তে SIT গঠন হবে। সব দোষীদের জেলে পাঠানো হবে।’ দুর্নীতিমুক্ত সোনার বাংলা গঠনই যে বিজেপির লক্ষ্য প্রচারে বারে বারে সেই কথা তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গঙ্গাসাগরের পরবিত্রভূমিতে এসে আমি ধন্য। এবার বাংলা থেকে তৃণমূলকে সরাতে হবে। ২রা মে বাংলা থেকে তৃণমূল বিদায় নেবে। নেতীজির পবিত্রভূমি আজ দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে ঘরে ঘরে পানীয় জল, গঙ্গাসাগরের উন্নয়ন হবে। তিনি বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে সুন্দরবনকে আলাদা জেলা করা হবে। বাংলা মানেই দুর্নীতির আখড়া। বাংলায় ভাতিজা অন্ড কোম্পানি চলছে। আমফানের পর টাকা পাঠিয়েছিলেন মোদীজি। কোথায় গেল সেই টাকা। হিসাব দিন দিদি। আমফানের টাকা দিদি-ভাতিজা ফান্ডে চলে গিয়েছে। সুন্দরবনের প্রতি অন্যায় করেছেন দিদি। ক্ষমতায় এলে আমফান দুর্নীতির তদন্তে SIT গড়বে বিজেপি সরকার। দোষীদের জেলে ঢোকানো হবে।’প্রধানমন্ত্রী গরিবদের জন্য ১১৫টি প্রকল্প এনেছে। কিন্তু দিদি গরিবের টাকা লুঠ করার জন্য ১১৫টি দুনীর্তি করেছে। বাংলায় অনুপ্রবেশ বন্ধ করা উচিত। শরনার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া উচিত। ক্ষমতা আসলে প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকেই আয়ুষ্মান যোজনা নিয়ে আসা হবে। তিনি এও বলেন, ‘বিধবা ভাতা হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বাংলায় আদৌ গুণ্ডা রাজ বন্ধ করতে চাইছেন? নাকি মমতা ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী বানাতে চাইছেন? প্রধানমন্ত্রী কিন্তু বাংলায় উন্নয়ন আনতে চাইছেন। কোনও গুণ্ডার সাহস নেই এবারের বাংলা ভোটের সময়. মানুষকে আক্রমণ করবে। তিনি আরও বলেন ‘ক্ষমতায় এলেই সিএএ লাগু হবে। অনুপ্রবেশ রোখা উচিত কি উচিত নয়? দিদি কি সেটা করতে পারবেন? আমরা বাংলাকে সোনার বাংলা বানাবো। একটা অনুপ্রবেশকারীও গলতে পারবে না।’