কলকাতা

আনিস কাণ্ডে সাংবাদিক বৈঠক রাজ্য পুলিশের ডিজি-র, গ্রেফতার হোমগার্ড ও এক সিভিক ভলেন্টিয়ার

আনিসকান্ডে রাজ্য পুলিসের ডিজি মনোজ মালব্য জানান,  এই ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একজন হোমগার্ড কাশ্মীনাথ বেরা এবং সিভিক ভলেন্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্য। একই সঙ্গে ডিজি মনোজ মালব্যর অভিযোগ, তদন্তে সহযোগিতা করা হচ্ছে না। পুলিস এবং সিটকে কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। বুধবার ভবানীভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে ডিজি বলেন, “আমরা আগেও বলেছিলাম ভাল করে তদন্ত হবে। আমরা ১০০ শতাংশ নিরপেক্ষতার কথা বলেছিলাম। বলেছিলাম কী তথ্য রয়েছে তা আমরা বের করে দেব। সিট সেই ভাবে কাজ করেছে। নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করেছে। যে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে তার ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একজন হোমগার্ড কাশ্মীনাথ বেরা এবং অন্যজন সিভিক ভলেন্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্য। এছাড়া সিট ওখানে বারবার যাচ্ছে। ওখানে কিন্তু পুলিস ও সিটকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আমরা পরিবারকে অনুরোধ করব। রাজনৈতিক কারণে হয়ত সহযোগিতা করতে দেওয়া হচ্ছে না। সিটকে মোবাইল ফোন দেওয়া হচ্ছে না। বাধা দেওয়া হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য আজ সকাল থেকে ওখানে সিট ছিল। কিন্তু সহযোগিতা করা হয়নি। কাল আমাদের দক্ষ

অফিসার মিরাজ খালিদ টিম নিয়ে ওখানে ছিলেন। তাঁর সঙ্গেও সহযোগিতা করা হয়নি। আমি বারবার অনুরোধ করছি সবাই যেন সহযোগিতা করেন। ১৫ দিনের মধ্যে সত্যি সকলের সামনে আনব।”  যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁরাই কি ঘটনার দিন রাতে আনিস খানের বাড়িতে গিয়েছিলেন? এই প্রশ্নের উত্তরে কোনও স্পষ্ট উদ্ধার দেননি রাজ্য পুলিসের ডিজি মনোজ মালব্য । তিনি বলনে, “এই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া দু’জনের ভূমিকা কী ছিল, তা নিয়ে এখনই কিছু বলা যাবে না। ১৫ দিনের মধ্যে সিটের তদন্তে যা উঠে আসবে তা সকলের সামনে আনা হবে। এখন প্রাথমিক তদন্ত চলছে। এখন হেফাজতে নিয়ে জেরা চলছে। সেই জেরায় যা সামনে আসবে, তা দু-একদিনের মধ্যে সামনে আনা হবে।” রাজ্য পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ঘটনার দিন থানার আরটি ভ্যানে এই দু’জন ছাড়াও আরও কয়েকজন ছিলেন। তাঁদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বুধবার ভবানী ভবনে আমতা থানার কয়েকজনকে ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিট সদস্যরা। তবে পুলিশের কাছে পরিষ্কার যে, ঘটনার রাতে পুলিশই আনিসের বাড়িতে গিয়েছিল। তদন্তের বিষয়ে খোলসা করে না বললেও ডিজির বক্তব্যেও সেই সুর ধরা পড়েছে।