আরিয়ান খানের জামিনের আবেদনের মামলার শুনানি আজকের মতো মুলতুবি করে দিল বম্বে হাইকোর্ট ৷ কাল ফের এই মামলার শুনানি হবে ৷ আরিয়ান খানের জামিনের আবেদন মামলার শুনানি দেখতে ভিড় জমে যায় বম্বে হাইকোর্টে ৷ শুরুতেই বিচারপতি সাম্বরে জানিয়ে দেন যে, কোভিড বিধি মানা না-হলে তিনি শুনানি শুরু করবেন না ৷ জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র ৪৫ থেকে ৭০ নম্বরের মামলার জন্য যাঁরা উপস্থিত হয়েছেন, তাঁদের বাদ দিয়ে সবাইকে আদালতের বাইরে যেতে নির্দেশ দেন বিচারপতি ৷ আরিয়ানের মামলা ছিল ৫৭ নম্বরে ৷ এরপর কোর্টরুম খালি হলে বিকেলের পর শুরু হয় শুনানি ৷আরিয়ানের হয়ে সওয়াল করেন প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগি ৷ শুরু থেকেই আরিয়ানের হেফাজত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি ৷ কেন এত দিন শাহরুখ-পুত্রকে জেলে থাকতে হল এই প্রশ্ন তুলে রোহতগি বলেন, “যে মামলায় আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগই নেই, সেই মামলায় আমি সওয়াল করছি ৷ আরিয়ান মাদক সেবন করেননি, ওর কাছ থেকেও মাদক পাওয়া যায়নি…তাহলে এই ছেলেটাকে কেন 20দিনের জন্য জেলে পাঠানো হল ? আরিয়ান খানের থেকে কিছুই উদ্ধার হয়নি ৷ তিনি মাদক নিয়েছেন, কোনও মেডিক্যাল রিপোর্টেও তার উল্লেখ নেই ৷ আরবাজ মার্চেন্টের কাছে ৬ গ্রাম চরস ছিল, যেটা তার জুতোর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল ৷ আরবাজ সেটা অস্বীকার করছে ৷ সেটা আমার ভাবার বিষয় নয় ৷ ও শুধু আরিয়ানের বন্ধু, এটুকুই ৷” পাল্টা জবাবে এনসিবি বলে, এখনও পর্যন্ত হওয়া তদন্তে অবৈধ ভাবে মাদক সংগ্রহ, পরিবহণ ও সেবনে আরিয়ানের ভূমিকা লক্ষ্য করা গিয়েছে ৷ প্রাথমিক তদন্তের পর দেখা গিয়েছে যে, এই মামলায় অপর অভিযুক্ত তথা বন্ধু আরবাজ মার্চেন্টের থেকে মাদক সংগ্রহ করতেন আরিয়ান ৷ এনসিবি দাবি করে, “অবৈধ ভাবে মাদক সংগ্রহে আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত কয়েকজন বিদেশির সঙ্গেও যোগ ছিল আরিয়ানের ৷” তাঁর কাছ থেকে মাদক পাওয়া না-গেলেও তিনি ষড়যন্ত্রে অংশ নিয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে হলফনামায় ৷ তাতে বলা হয়েছে, “এনডিপিএস আইন অনুযায়ী মাদক সেবনে আরিয়ানের ভূমিকা খুবই গুরুতর ৷” দু’পক্ষের সওয়াল জবাবের পর আরবাজ মার্চেন্টের আইনজীবী ও অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল তাঁদের বক্তব্য পেশের জন্য ৪৫ মিনিট করে সময় চাইলে আদালত আজকের মতো শুনানি মুলতুবি করে দেয় ৷ আগামিকাল দুপুর 2.30টে নাগাদ ফের এই মামলার শুনানি হবে বলে জানান বিচারপতি ৷ অর্থাৎ আজও আর্থার রোড সংশোধনাগারেই কাটাতে হচ্ছে শাহরুখ-পুত্রকে ৷