বিনোদন

‘ষড়যন্ত্রের প্রমাণ নেই, মেলেনি ড্রাগস’, জামিন পেলেন আরিয়ান খান

জামিন পেলেন আরিয়ান খান। বম্বে হাই কোর্ট তারকা-সন্তানের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল বৃহস্পতিবার। দীপাবলির আগেই সম্ভবত বাড়ি ফিরবেন শাহরুখ খান এবং গৌরী খানের বড় ছেলে। আর্থার রোড জেল থেকে তাঁকে ‘মন্নত’-এ ফেরার অনুমতি দিল আদালত। মঙ্গলবার এবং বুধবার আরিয়ানের জামিনের শুনানি অসমাপ্ত ছিল। তৃতীয় দিনে রায় শোনাল হাই কোর্ট। শুক্র বা শনিবার ঘরের ছেলে ঘরে ফিরতে পারেন। মুনমুন ধমেচা এবং আরবাজ মার্চেন্টকেও জামিন দেওয়া হয়েছে।  এনসিবির তরফে শুক্রবার আরিয়ানের আইনজীবীদের তর্কের পালটা জবাব দেওয়া হয়। তবে শেষেমষে দু-পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধামেচার জামিন মঞ্জুর করেন বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি নীতিন সাম্বরে। আরিয়ানের কৌঁসুলি আইনজীবীদের মুকুল রোহাতগি সওয়াল করেন, সংবিধানের ২২ নম্বর ধারা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ সিআরপিসি-র ৫০ নম্বর ধারারথেকে। এনসিবির গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। আদালতকে তিনি বলেন, কোনও ব্যক্তিতে গ্রেফতার করা হতে পারে না, গ্রেফতারির সঠিক কারণ না জানিয়ে। আরিয়ানের অ্যারেস্ট মেমো-তে অপরাধমূলক ষড়য়ন্ত্র (এনডিপিস আইনের ২৯ নম্বর ধারা) ছিল না, বলেও তিনি জানান।আরবাজ মার্চেন্টের কৌঁসুলি তথা আরিয়ানের লিগ্যাল টিমের অংশ অমিত দেশাই বলেন, ‘এনসিবির কাছে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব প্রমাণ করবার জন্য কোনও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট নেই। এবং উদ্ধার করা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটগুলি অনেক পুরনো (২০১৮ সালের), যার জন্য ২রা অক্টোবরের মামলার যোগ থাকতে পারে না। প্রথমে এনসিবি বলল তিনজনে ষড়যন্ত্র করেছে, পরে সেটা হল ৮ জন.. এরপর গিয়ে দাঁড়াল ২০ জনে’।’আরিয়ানের অ্যারেস্ট মেমো-তে তাঁর থেকে উদ্ধার হওয়া যে সমস্ত জিনিসের তালিকা রয়েছে তা কখনই আমার মক্কেলের কাছে মেলেনি। যে দোষের জন্য সাজা সর্বোচ্চ এক বছর (মাদক সেবন) তার জন্য ২৫ দিন ধরে কাউকে জেলেবন্দি রাখা অনুচিত’, কোর্টকে জানান মুকুল রোহাতগি।মুনমুন ধামেচার আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন, তাঁর মক্কেলকে ‘বলির পাঁঠা’ বানানো হচ্ছে। ব্যক্তিগত ব্যাবহারের মাদকের সঙ্গে কমার্শিয়াল কোয়ান্টিটির মাদক এক করে ফেলছে মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা যুক্তি তাঁর। এনসিবি-র পদক্ষেপ ‘সাংবিধানিক অধিকারের সরাসরি লঙ্খন’ বলে দাবি করেন মুকুল রোহাতগি। তাঁর কথায়, যে মামলার সর্বোচ্চ সাজা এক বছর সেখানে জামিনই কাম্য, অভিযুক্তদের জেলবন্দি রাখাটা মোটেই শ্রেয় নয়। আরিয়ান-আরবাজ দুজনেই মুম্বইয়ের বাসিন্দা, তদন্তের স্বার্থে যে কোনও সময় এনসিবি তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে, এমন কথাও জানান তিনি।