জেলা

নন্দীগ্রামে ভোট গণনায় গরমিল প্রকাশ্যে আসতেই নয়া সাফাই শুভেন্দুর

নন্দীগ্রামে ভোট গণনায় কারচুপি করা হয়েছে। এই অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা নন্দীগ্রামের শাসক দলের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মামলাটি হাইকোর্টে বিচারাধীন। অথচ বিষয়টি নিয়ে আবারও সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুললেন নন্দীগ্রামে জয়ী শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমে উল্লেখ করা তথ্য ভুল বলে দাবি করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। বুধবার বাংলার একটি সংবাদমাধ্যম নির্বাচন কমিশনের এক্সক্লুসিভ নথি প্রকাশ্যে আনে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, রেয়াপাড়ার এসএন রায় স্কুলের বুথের ‘অ্যাকাউন্ট অব ভোটস রেকর্ডেড’-এ স্পষ্ট লেখা, মোট ভোটার সংখ্যা ৬৭৬ এবং ভোট পড়েছে ৭৯৯টি। এমন তথ্য থাকা সত্ত্বেও ফর্ম ১৭ সি-তে স্বাক্ষর করে দিয়েছেন প্রিসাইডিং অফিসার। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ফের সরব হয়েছেন শুভেন্দু। একটি ট্যুইট করে তিনি দাবি করেন, ‘মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। বরং রেয়াপাড়ার এস এন রায় স্কুলের বুথের ভোটার ৭৯৯ এবং ভোট পড়েছে ৬৭৬টি।’ যদিও নন্দীগ্রামে ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের মুখে শুভেন্দু অধিকারীর চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। ২ মে ফল ঘোষণার দিন সকাল থেকেই গোটা বিশ্বের নজর ছিল নন্দীগ্রামে। গণনার শুরু থেকেই বেশিরভাগ সময়টাই এগিয়েছিলেন শুভেন্দু। এরপর সন্ধের সময় সংবাদ সংস্থা জানায়, নন্দীগ্রামে ১২০০ ভোটে জিতে গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তার খানিক পরেই রিটার্নিং অফিসার ঘোষণা করেন, ১৯৫৬ ভোটে জিতেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপরই ভোট গণনায় কারচুপি অভিযোগে সরব হন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো। সাংবাদিক সম্মেলন করে একটি হোয়াটসঅ্যাপ স্ক্রিনশট প্রকাশ্যে এনেছিলেন তিনি।