সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবং জনপ্রিয়তার নেপথ্যে কি কারচুপি? ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের ফলাফল কি অন্যরকম হতে পারত? মহারণ ২৪’র আগে একটি গবেষণাপত্র কিন্তু এই ভয়াবহ প্রশ্নই তুলে দিয়েছে। দিল্লি এনসিআর এলাকার অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাঙালি সহকারী অধ্যাপক সব্যসাচী দাস প্রকাশ করেছেন তাঁর রিসার্চ পেপার। সেখানেই তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, গত লোকসভা ভোটে বিজেপির ভয় মোটেই নিষ্কলঙ্ক নয়। রীতিমতো কারচুপি করে ও প্রভাব খাটিয়েই এই জয় হাসিল করেছে গেরুয়া শিবির। আর এই গবেষণাপত্র প্রকাশ্যে আসা মাত্র দেশজুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি সাফ দাবি করেছে, এসব ভিত্তিহীন। সরকার এবং দলকে কলুষিত করতেই এমন প্রচার চালানো হচ্ছে। আর রাজনীতির প্রভাবশালী মহলে প্রবেশ মাত্রই ওই গবেষণাপত্র ও সহকারী অধ্যাপকের ব্যাপারে দায় ঝেড়ে ফেলেছে বিশ্ববিদ্যালয়। ডেমোক্র্যাটিক ব্যাকস্লাইডিং ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’স লার্জেস্ট ডেমোক্র্যাসি শীর্ষক গবেষণাপত্রটির লেখক অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির সহকারী অধ্যাপক সব্যসাচী দাস। তিনি কিন্তু স্পষ্ট বলেছেন, ‘আমি প্রচুর তথ্য ও প্রমাণ সংগ্রহ করেছি। তার থেকেই বোঝা যাচ্ছে, কারচুপি হয়েছে। আর তা হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি আসনগুলিতে। এর মধ্যে অধিকাংশই আবার সংখ্যালঘু প্রভাবিত। বিভিন্ন রাজ্যের আসন চিহ্নিত করে একেবারে বুথস্তরে কারচুপি হয়েছে। ক্ষমতায় থাকার সুবাদে রীতিমতো নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে বহু কেন্দ্রের ভোট প্রক্রিয়া। এমনকী কাজে লাগানো হয়েছে পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে থাকা রাজ্যের সিভিল সার্ভিস অফিসারদেরও। এর ফলাফল গণতন্ত্রের ভবিষ্যতের জন্য আশঙ্কাজনক।’ ২০১৯’এর ভোটের পর নানা মহল থেকে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছিল। বিশেষ করে কম ব্যবধানে বিজেপির হাতে আসা বেশ কিছু কেন্দ্র ছিল প্রশ্নের মুখে। তার উপর অভিযোগ উঠেছিল, আইটি সেলকে কাজে লাগিয়ে প্রচারেও চোরাগোপ্তা মেরুকরণ হয়েছে। সেইসব জল্পনা অবশ্য অঙ্কুরেই ধামাচাপা পড়ে যায়। রাজনৈতিক বিতর্ক কিন্তু থামছে না। বিরোধীদের প্রশ্ন, অধ্যাপকের হাতে যদি তথ্য-প্রমাণ থেকেই থাকে, তাহলে সরকার তা খারিজ করবে কীভাবে? আর একই আশঙ্কার আবহ আগামী ভোটেও তৈরি হবে না তো?