বিদেশ

ট্রাম্প উস্কানিমূলক মন্তব্যের পরেই ক্যাপিটাল বিল্ডিংয়ে হামলা, নিহত ৪, ফেসবুক-ইন্সটাগ্রাম-টুইটার থেকে সরল ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট

ওয়াশিংটনে ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা জারি

 ট্রাম্প উস্কানিমূলক মন্তব্যের পরেই বুধবার ওয়াশিংটন ক্যাপিটালে হামলা চালিয়েছেন ট্রাম্প ভক্তরা। ধুন্ধুমারে স্তম্ভিত গোটা বিশ্ব। ওয়াশিংটনে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে। ট্রাম্পের সমর্থকদের তাণ্ডবে রণক্ষেত্র ওয়াশিংটন। গুলিতে মারা গিয়েছেন এক মহিলা প্রতিবাদকারী। মোট নিহতের সংখ্যা ৪। মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাবী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নভেম্বরের নির্বাচনের ফলকে অনুমোদন করতে আলোচনা চলার সময়ই ট্রাম্পের সমর্থকরা তুমুল হামলা চালায়। তারা ক্যাপিটল হল ও আশপাশের বাড়িগুলি কার্যত দখল নিয়ে নেয়। পুলিশকে ব্যাপক কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে হয় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে। চারধাপ নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে বাড়ির ভিতরে তাদের ঢোকার চেষ্টাও আটকানো হয়। সাময়িক স্থগিত হওয়ার পর ফের শুরু হয়েছে মার্কিন কংগ্রসের অধিবেশন।এমত অবস্থায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল ফেসবুক ট্যুইটার। এই প্ল্যাটফর্মগুলি থেকে তাঁর অ্যাকাউন্ট সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী চব্বিশ ঘণ্টা ফেসবুক বা ইন্সটায় কোনও পোস্ট করতে পারবেন না। ট্যুইটারেও তাঁর অ্যাকাউন্ট সরানো হয়েছে, তবে সাময়িক না চিরতরে নিষিদ্ধ হচ্ছে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট তা পরিষ্কার নয় । বিরোধিরা বলছেন, ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে এই মাধ্যমগুলিতে দিনের পর দিন প্রমাণ ছাড়াই নানা মন্তব্য করে গিয়েছেন ট্রাম্প। সেখান থেকেই ছড়িয়েছে দাবানল। অগত্যা এই সিদ্ধান্ত নিল ফেসবুক- ট্যুইটার। ফেসবুকের ভাইস প্রেসিডেন্ট গুই রোজেন বলেন, এটা জরুরি অবস্থা। তাই আপত্‍কালীন সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা। আমরা মনে করছি এর ফলেই পরিস্থিতি শান্ত হবে। আরও বড় অশান্তির সম্ভাবনা কমবে। ফেসবুকের সিদ্ধান্তে অবশ্য খুশি নন বহু মার্কিন গণতন্ত্রপ্রেমী। তাঁদের কথায়, এটি অনেক দেরি করে নেওয়া সিদ্ধান্ত। প্রতিক্রিয়া হিসেবেও খুবই সামান্য। এবারের মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের ভাগ্যে জুটছে ২৩২টি ভোট আর বাইডেন পেয়েছেন ৩০৬টি ভোট। অথচ যে দিন থেকে ভোটগণনা এবং নির্বাচনী ফলাফল সামনে এসেছে ট্রাম্প কারচুপির অভিযোগ তুলে এসেছেন। একাধিক মামলা করে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট খুব একটা কিছু করে উঠতে পারেননি। এর পরেই বুধবারের একটি জনসভায় ট্রাম্প জিগির তোলেন, আমরা পিছু হটব না। মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলি বলছে, এরপরেই রাস্তায় নেমে পড়েন ট্রাম্প সমর্থকরা। পরে অবশ্য তাদের শান্ত হওয়ার কথা বলেছিলেন ট্রাম্প ট্যুইটারে। ছোট ভিডিও শেয়ার করে তিনি লেখেন, গো হোম। ভক্তরা তাঁর কথা শোনেনি। কিছুতেই আটকানো যায়নি তাঁদের। ক্যাপিটাল বিল্ডিং আক্রমণের পর পরিস্থিতি সামাল লেগে গিয়েছে ৪ ঘণ্টা। এই মুহূর্তে সেনেটাররা দাবি তুলছেন ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের। ওয়াশিংটনে ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে।