ক্লাব ভাঙচুর ও অস্ত্র নিয়ে দোকানপাট লুঠের ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে গত শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়েছিল মুচিপাড়ার বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে। বাড়ির দরজা ভেঙে টেনে হিঁচড়ে বের করে আনা হয় প্রদীপ ঘোষের ছেলেকে। তারপরেই মুচিপাড়ায় থানায় একাধিক ধারার ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়। গত শনিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে দু’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। সোমবার ফের আদালতের কাছে আগামী ২৫ তারিখ পর্যন্ত সজলকে পুলিশি হেফাজতে রাখার আর্জি জানিয়েছিলেন সরকারি আইনজীবী। তবে তা খারিজ করে দিয়ৈছেন বিচারক। সজলের আইনজীবী জানান, অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করলেও কোনও বেআইনি অস্ত্র পায়নি পুলিশ। তাঁর মক্কেল নির্দোষ তাই ছেড়ে দেওয়া হোক। উপযুক্ত প্রমাণ না থাকায় সজলকে এদিন ২০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেয় ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। গত শুক্রবার একাধিক মামলার ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে। তারপরেই ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে মুচিপাড়া এলাকায়। গতকাল ও আজ সজলের বেআইনি অস্ত্র খোঁজার জন্য বাড়ি সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। কিন্তু কোনও অস্ত্রের হদিশ পাননি মুচিপাড়া থানার আধিকারিকরা। তারপরেই আজ আদালতে তোলা হলে সজলকে পুলিশি হেফাজতে রাখার আর্জি খারিজ করে দেয় আদালত। গত শুক্রবার সজল ঘোষের বাড়িতে দরজা ভেঙে গ্রেফতারির ঘটনা নিয়ে নিন্দা করা হয় একাধিক রাজনৈতিক দলের তরফে। তৃণমূলের তরফেও সেদিন দরজা ভাঙার ঘটনাকে অবাঞ্চিত বলা হয়। এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে সজলের পাশে দাঁড়াতে হাজির ছিলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তিনি এই গ্রেফতারি নিয়ে জানিয়েছেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজে কোথাও অস্ত্র দেখা যাচ্ছে না। অস্ত্র আইনে মামলা, চুরির মামলা – সরকার বাহাদুরকে খুশি করার জন্য পুলিশ আধিকারিকরা এসব করে বেড়াচ্ছেন। এরা জানে না সংবিধান কাউকে ছেড়ে কথা বলে না। আজ আপনারা করছেন, কাল আপনাদের কী হবে তা কেউ ভাবে না। সরকারকে খুশি করার জন্য একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে হেনস্থা করা হচ্ছে।’