কলকাতা

ফিরহাদ হাকিমের নামে রাজ্যপালকে নালিশ,‌ বদলি হলেন বৈশাখী

শোভনের সঙ্গে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে নালিশ জানানোর পরদিনই বদলি হলেন বৈশাখী ব্যানার্জি। মিল্লি আল আমিন থেকে রামমোহন কলেজে বদলি করা হল বিজেপি নেত্রীকে। শুক্রবারই কলকাতার মহানাগরিকের বিরুদ্ধে রাজ্যপালের কাছে নালিশ জানিয়ে এসেছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে কলেজ থেকে উত্‍খাত করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘‌ঘুমন্ত বাঘকে অহেতুক না জাগানোই ভাল। বাঘ বাঘই থাকে। আহত অবস্থাতেও সে বাঘ। কিন্তু জেগেছি যখন, বাংলার মানুষের থেকে উত্তর নিয়ে ছাড়ব।’‌ তারপরই এদিন বদলির নোটিস পেলেন তিনি। যা নিয়ে ফের ক্ষোভ উগড়ে তিনি বলেন, ‘বদলি মানছি না। এটা শাস্তিমূলক পদক্ষেপ।’ রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার আগে গতকাল বৈশাখী জানিয়েছিলেন, ‘আমি যে কলেজের অধ্যক্ষ ছিলাম, সেই মিল্লি আল আমিন কলেজে দীর্ঘ দিন ধরে অচলাবস্থা চলছে। আমি জুন মাসে পদত্যাগ করা সত্ত্বেও সেই অচলাবস্থার দায় এখনও আমার উপর চাপানোর চেষ্টা হচ্ছে। ওই কলেজ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ এবং রাজ্যপাল আচার্য, তাই তাঁকে গোটা বিষয়টি জানাব।’ ‌বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ‘‌’উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কলেজের সামনে আন্দোলন করা হচ্ছে। আমি তো পদ ছেড়ে দিয়েছি, পোস্টারে কেন আমার নাম? পড়ুয়াদের কেন বিপথগামী করা হচ্ছে, তদন্ত হোক। মাননীয় ফিরহাদ হাকিম সাহেবের কী অধিকার আছে, আমাকে আমার কলেজ থেকে উত্‍খাত করার?‌ এই চাকরি আমাকে উনি দেননি। ওনার সরকার দেননি। প্রেসিডেন্সি কলেজে উনি ঢুকতে পারবেন না। আমি আমার যোগ্যতায় ঢুকেছি। আমার পদবি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই হয়তো এমন কথা বলার সাহস হল। খাতুন হলে বলতে পারতেন!’‌ গতকাল বন্ধু শোভন চ্যাটার্জিও সঙ্গে গিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘‌কলেজ কারও অ্যাজেন্ডা পূরণের জায়গা নয়। সরকারের আত্মসমালোচনা করা উচিত। রাজ্যপাল সহানুভূতির সঙ্গে গোটা বিষয়টি শুনেছেন। কারও অধিকার হরণ হলে বিচার হওয়া উচিত। আমার দীর্ঘ ৪০-৪২ বছরের রাজনৈতিক জীবন। ৩০ বছরের বেশি সময় আমি জনপ্রতিনিধি হিসাবে কাজ করছি। এমন মন্তব্য একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি তথা জনপ্রতিনিধি হিসেবে কীভাবে করত পারেন উনি, আমার জানা নেই। এই ধরণের দায়িত্বজ্ঞাহীন মন্তব্যে আমি ব্যথিত। ফিরহাদের মিল্লি আল আমিন কলেজের দায়িত্ব পাওয়ার পিছনে আমার অবদান ছিল। এই কলেজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন জনাব সুলতান আহমেদ। এমন একটি কলেজে দাঁড়িয়ে একজন মন্ত্রী কোনও মহিলা সম্পর্কে কী করে এমন মন্তব্য করলেন! এই মন্তব্য আমাকে যন্ত্রণা দিয়েছে। ওঁর আত্মসমালোচনা করা উচিত।’‌