ফসিলস ব্যান্ডের প্রাক্তন সদস্য চন্দ্রমৌলি বিশ্বাস আর নেই! ব্যান্ডের দীর্ঘদিনের সঙ্গী ছিলেন চন্দ্রমৌলি। মধ্য কলকাতার ইন্ডিয়ান মিরর স্ট্রিটের ভাড়া বাড়িতে থাকতেন শিল্পী। সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে চন্দ্রমৌলির ঝুলন্ত দেহ। তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৮ বছর। বর্তমানে গোলক এবং জম্বি কেজ কন্ট্রোল নামের দুই ব্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন চন্দ্রমৌলি। বাবা-মা একটি আমন্ত্রণ রক্ষায় বাইরে গিয়েছিলেন, বা়ড়িতে একাই ছিলেন চন্দ্রমৌলি। চন্দ্রমৌলির ঝুলন্ত দেহ প্রথম দেখতে পান তাঁর বর্তমান ব্যান্ড সঙ্গী মহুল চক্রবর্তী। রবিবার চন্দ্রমৌলির বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন মহুল। চন্দ্রমৌলির ঝুলন্ত দেহ দেখা মাত্রই স্থানীয় থানায় ফোন করেন শিল্পী। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। পুলিশের এক আধিকারিক জানান, চন্দ্রমৌলির ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোট। সেখানে লেখা রয়েছে, তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। দেহ ইতিমধ্যেই ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সুইসাইড নোটের হাতের লেখার সঙ্গে চন্দ্রমৌলির আগের লেখা মিলিয়ে দেখছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। ২০১৮ সালে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কারণের জন্যই নাকি ফসিলস ছাড়েন চন্দ্রমৌলি, জানিয়েছেন রূপসা। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন চন্দ্রমৌলি। গত কয়েক বছর ধরেই হাতে তেমন কাজ ছিল না। অর্থনৈতিক সংকটে ছিলেন তিনি। ডিপ্রেশনের জন্য চলছিল চিকিৎসাও। পুলিশকে তেমনটাই জানিয়েছে,চন্দ্রমৌলির বন্ধু ও পরিজনরা। গোলক ব্যান্ডের লিড ভোকালিস্ট মহুল। তিনি জানান, ‘আজ সকাল ১১টা থেকে আমি ওকে ফোন করছিলাম। কিন্তু কোনও জবাব পাইনি। চিন্তিত হয়ে পড়ে এক বন্ধুকে নিয়ে ওর বাড়ি আসার সিদ্ধান্ত নিই, এসে দেখলাম ও আর নেই! এটা বাংলার মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির জন্য বিরাট ক্ষতি’। ২০০০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত, একটানা ১৮ বছর ফসিলস ব্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন চন্দ্রমৌলি। ১৯৭৬ সালে জন্ম হয়েছিল চন্দ্রমৌলির, ইঞ্জিনিয়ারের কেরিয়ার ছেড়ে সঙ্গীতকেই পেশা বানিয়েছিলেন তিনি। ফসিলসের ম্যানেজার তথা রূপম-পত্নী রূপসা জানিয়েছেন, কল্যাণীতে শো করতে যাওয়ার পথে আমাদের কাছে এই খবরটা আসে। ১৫ বছর ও আমাদের সঙ্গে ওখানে পারফর্ম করেছে। ব্যান্ডের প্রত্যেক সদস্য ভেঙে পড়েছে,রূপম বিধ্বস্ত। আজ ওরা কীভাবে পারফর্ম করবে জানি না’।