জেলা

বর্ধমানে বন্দুক ঠেকিয়ে দুঃসাহসিক ব্যাংক ডাকাতি, লুঠ প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা

আজ সকালে বর্ধমান শহরের প্রাণকেন্দ্র কার্জন গেট এলাকায় পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের শাখায় বড় ধরনের ডাকাতির ঘটনা ঘটে।  ব্যাঙ্ক খোলার পরেই গ্রাহক সেজে ব্যাঙ্কে ঢুকে রিভলবার বের করে সকলকে ভয় দেখিয়ে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দিল ১২-১৫ জনের একটি ডাকাত হল ৷  জানা গিয়েছে, এদিন সকাল প্রায় সাড়ে দশটা নাগাদ ১২-১৫ জনের একটি দুষ্কৃতী দল গ্রাহক সেজে বর্ধমান শহরের বিসি রোডের দত্ত সেন্টার সংলগ্ন ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের (পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক) ভিতরে ঢুকে পড়ে । সেই সময় বেশ কিছু গ্রাহক ব্যাঙ্কের ভিতরে ছিলেন ৷ অভিযোগ, গ্রাহকদের রিভলবার দেখিয়ে তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় ওই দুষ্কৃতীরা । কেউ ফোন দিতে অস্বীকার করলে তাঁদের লাথি,চড়-থাপ্পড়ও মারা হয় ৷ বেশ কিছু ফোন আছড়ে ভেঙেও ফেলে ওই দুষ্কৃতীরা । এরপর ব্যাঙ্ক থেকে টাকা লুঠ করে বাইরে বেরিয়ে যায় ডাকাত দলটি । পালানোর সময় দুষ্কৃতীরা ব্যাঙ্কের মূল গেটে বাইরে থেকে তালাও ঝুলিয়ে দিয়ে যায় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহ রায়-সহ বর্ধমান থানার পুলিশ । তদন্তে নেমে ব্যাঙ্কের সিসিটিভি ফুটেজ-সহ ওই এলাকার বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ । ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন থানায় খবর দেওয়া হয়েছে । শুরু হয়েছে নাকা-চেকিং । সমীর চৌধুরী নামে ব্যাঙ্কের এক গ্রাহক বলেন, “আমার মেয়ে নার্সিংহোমে ভর্তি আছে । তাই টাকা তোলার জন্য ব্যাঙ্কে ঢুকেছিলাম । সেই সময় কয়েকজন ব্যাঙ্কের ভিতরে ছিল । তারা সকলেই কম বয়সি । প্রত্যেকেরই মুখে রুমাল, মাফলার বাঁধা, হাতে রিভলবার । আমি ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে আমায় এক জায়গায় বসিয়ে দেয় তারা । ওরা প্রত্যেকেই হিন্দিতেই কথা বলছিল ।” অন্যদিকে, ব্যাঙ্ককর্মী বিমল দাস বলেন, “আমি তখন ব্যাঙ্কে ছিলাম না । আমি ঢুকতেই আমার মাথায় রিভলবার ঠেকায় দুষ্কৃতীরা ।” সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্কের সিঁড়িতে থাকা সিসি টিভি সে সময় কার্যকর অবস্থায় ছিল না। অন্যদিকে, ব্যাঙ্কের ভেতরে থাকা সিসি টিভির হার্ডডিস্ক দুষ্কৃতীরা নিয়ে চম্পট দেয় বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া ডাকাত ঢুকেছে বুঝতে পারার সঙ্গে সঙ্গে এমার্জেন্সি অ্যালার্ম বাজানো হল না কেন সেই প্রশ্ন তুলছেন আশপাশের ব্যবসায়ীরাও।  ডাকাতির পর পরই ব্যাঙ্কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠল বর্ধমানে।