কলকাতা

উপাধ্যক্ষকে দায়িত্ব কেন দিলেন রাজ্যপাল? এটা অধ্যক্ষকে অসম্মান করা হবে, ‘আমি পারব না’, সাফ জানালেন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়

শপথ জট পিছু ছাড়ছে না দুই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির৷ রাজ্যপাল বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে সকালেই কলকাতা ফিরে আসলেও, শপথ নিয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন রাতের দিকে৷ যদিও দুপুরেই বিশেষ অধিবেশন ডেকে বসেছে রাজ্য বিধানসভা। তবে সেই অধিবেশনে শপথ নিয়েই কার্যবিবরণী হবে এমনটাও নয়৷ তবে আজ, শুক্রবার কার্যবিবরণী বৈঠকে যে এই নিয়ে আলোচনা হবে তার ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। এরই মধ্যে শুক্রবার রাতে বিধানসভার উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথ বাক্য পাঠ করাতে বলে বিবৃতি দেয় রাজভবন। আর এরই প্রেক্ষিতে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, এই কাজ করা তার পক্ষে সম্ভব নয়৷ রাজভবনের এই বিবৃতির বিষয়ে জানতে পেরে অবশ্য উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, “আমার পক্ষে দায়িত্ব নেওয়া উচিত নয়। কারণ অধ্যক্ষ কলকাতায় রয়েছেন। রাজ্যপালের কথা শুনে আমি শপথ পড়ালে অধ্যক্ষকে অসম্মান করা হবে। এটা কাম্য নয়।” কারণ, নিয়ম অনুযায়ী, অধ্যক্ষ অনুপস্থিত থাকলে বা অসুস্থ হলে সেক্ষেত্রে ডেপুটি স্পিকার ওই দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু এখানে পরিস্থিতি তেমনটা নয়। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের  প্রতিক্রিয়া, “আনুষ্ঠানিকভাবে রাজভবনের তরফে আমায় কিছু জানানো হয়নি। যেমন প্রস্তুতি আছে তেমনই ব‌্যবস্থা হবে।” আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও চিঠি পাননি বলে জানিয়েছেন উপাধ্যক্ষও৷ আজ বিধানসভার অধিবেশনে তিনি যোগ দেবেন৷ যদি সচিবালয়ে রাজ ভবনের তরফে কোনও চিঠি এসে থাকে, তাহলে তার জবাব তিনি দিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন ঘনিষ্ঠ মহলে। বিধায়কদের শপথের দায়িত্ব ডেপুটি স্পিকারকে দেওয়া নতুন নয়। এর আগে বিধানসভা উপনির্বাচনে বালিগঞ্জ থেকে জয়ী তৃণমূলের বাবুল সুপ্রিয়কে শপথ পড়ানোর জন্য তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও ডেপুটি স্পিকারের উপর ভার ন্যস্ত করেছিলেন। যদি সেসময় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় উপস্থিত থাকায় উপাধ্যক্ষ তাঁকেই শপথ পড়ানোর অনুরোধ করেন এবং অধ্যক্ষই সেই কাজ করেছিলেন।