বিপর্যয়ের মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পথে নামতেই স্বচ্ছন্দ্য বোধ করেন। এর আগে বঙ্গ যেসব প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে, তার প্রতিটিতেই দেখা গিয়েছে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে নবান্নে তৈরি কন্ট্রোলরুমে বসে গোটা পরিস্থিতি দেখে দরকারি পরামর্শ দিয়েছেন। কাজের তদারকি করেছেন। ‘ফণী’, ‘আমফান’-এর মতো শক্তিশালী ঘুর্ণিঝড়ের সময় তাঁর এতটাই সক্রিয়তা দেখা গিয়েছিল। এবার আসছে ‘যশ’। তার মোকাবিলায়ও মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন ফ্রন্টলাইনে। সূত্রের খবর, ২৫ এবং ২৬ মে, অর্থাৎ যে সময়ে ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়বে বাংলার উপকূলবর্তী অঞ্চলে, ওই দুদিন নিজে কন্ট্রোলরুমে থাকবেন তিনি। নবান্নের পাশে উপান্নে তৈরি হবে বিশেষ কন্ট্রোলরুম। সেখানেই রাতভর থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া নবান্নের তরফে সাগর, কাকদ্বীপ, গোসাবা, ডায়মন্ড হারবার, মথুরাপুরে প্রস্তুত রাখা হয়েছে কুইক রেসপন্স টিম, বিপর্যয় মোকাবিলা দল। স্থানীয় প্রশাসনকে ২ লক্ষ জলের পাউচ প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৫০ হাজার বিদ্যুতের খুঁটি মজুত রাখা হয়েছে। ২০টি স্যাটেলাইট ফোন এবং ২৫টি ড্রোনের মাধ্যমে চলবে নজরদারি। মোবাইল নেটওয়ার্ক এর আগাম বৈঠক হয়েছেন। ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে এমন এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে ত্রিপল, সাবান, চাল, ডাল, বেবিফুড। উপকূলবর্তী এলাকার ৩ লক্ষ মানুষের জন্য ১১৫টি আয়লা সেন্টার এবং ২৫০টি আইসিডিএস স্কুলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানকার হাসপাতালগুলিকে বাড়তি বেড ও ওষুধের ব্যবস্থা করে রাখতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সমস্ত দফতরের সরকারি কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।