কলকাতা

১৬ জুন থেকে রাজ্যে ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে খুলতে পারে শপিং মল, শর্তসাপেক্ষে বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা যাবে রেস্তোরাঁ, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

কলকাতাঃ আজ নবান্ন সভাঘরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন পরের ধাপে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত খোলা থাকবে খুচরো দোকান। তিনি আরও জানান, এবার থেকে বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত হোটেল ও রেস্তোরাঁ খোলা যাবে। জানান, উপযুক্ত স্যানিটাইজেশন করে এবার খোলা হবে হোটেল ও রেস্তোরাঁ গুলি। ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে হোটেল ও রেস্তোরাঁ খোলা রাখতে হবে। তবে কর্মীদের টিকাকরণের পরই হোটেল ও রেস্তোরাঁ খোলা যাবে বলেও জানান মমতা বন্দ্যোধ্যায়। তিনি এও বলেন, কর্মীদের দূরত্ববিধি, মাথায় টুপি ও হাতে গ্লাভস পরে কাজ করতে হবে। ওঁরা যাতে অসুস্থ হয়ে না পড়ে। তাঁদের সুরক্ষার দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, আগামী ১৬ জুন থেকে ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে রাজ্যের শপিং মলগুলি খোলার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, শপিং মল খোলার পরও যাতে ভিড় বেশি না হয়, খেয়াল রাখতে হবে সে দিকেও । তবে শপিং মলের বাইরে যে জামাকাপড়ের দোকান আছে, সেগুলি এখনই খোলা হবে না । বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । হোটেল ও রেস্তরাঁকর্মীদের সঙ্গে গমকল ও চালকলের কর্মী, রেশনদোকানের কর্মীদের টিকাকরণের উপরও জোর দেন মু্খ্যমন্ত্রী । অর্থাত্‍ কোভিড ছড়ানোর প্রশ্নে যে ক্ষেত্র গুলি সুপারস্প্রেডার, সেখানকার কর্মীদের টিকাকরণের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি । এদিন ২৯ টি বণিক সংগঠন নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী । পাশাপাশি তিনি এও বলেন, এ পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে ১.৪ কোটি ভ্যাকসিন বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। এসবের পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, করোনা সংক্রমণের জেরে অন্য রাজ্যগুলি লকডাউন করে দিচ্ছে সম্পূর্ণরূপে কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের চিত্রটা অন্যরকম। এখানে সম্পূর্ণ লকডাউন নয়, করোনা সংক্রমণে রাশ টানতে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সংক্রমণ কমাতে রাজ্য সরকারের তরফে যে বিধি নিষেধগুলি আরোপ করা হয়েছে, তাতে সাধারণ মানুষ সমর্থন করেছেন বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, শিল্প সংস্থাগুলি কর্মীদের নিজে থেকেই টিকা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আপনাদের কর্মীদের ভ্যাকসিন দিতে যে টাকা লাগবে সেই টাকা ত্রাণ তহবিলে দিন, আমরা ওই টাকা নেব না। সেই টাকা দিয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মীদের টিকা দেব।’ বণিকসভাগুলি নিজে থেকে ত্রাণ বণ্টন না করে রাজ্যকে সেগুলি দিতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এজন্য ১৫ টি বণিকসভা একটি কমিটি গঠন করে তাদের মতামত দিক বলে আর্জি জানিয়েছেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিনের বৈঠকের পর বণিক সংগঠনগুলিকে দ্রুত হাট-বাজার স্যানিটাইজড করার নির্দেশ দেন। বেশি মানুষ যাতে জমায়েত করতে না পারে সে কথা মাথায় রাখতে হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এদিন বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই ব্যবসায়ীদের কথা ভেবেছি। তাঁদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই লকডাউন বা কারফিউ জারি করিনি এই রাজ্যে।” তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়িক সংগঠনগুলিকে তাদের কর্মীদের টিকা দিতে অনুরোধ করছি। ধরে নিন ওই টিকা ত্রাণ তহবিলে দিয়েছেন।” বিস্তারিত আসছে…