ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দিল শীর্ষ আদালত। ২০২১ সালের রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের সময় কোচবিহারে ধর্ষণ এবং ভোট পরর্বতী হিংসার ঘটনা ঘটে। এই মামলা শিলিগুড়ির বিশেষ সিবিআই আদালতে শুরু হয়েছিল। সে সময় সিবিআই জানায়, বাদী পক্ষকে ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ২০২৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর সিবিআইয়ের আবেদনের ভিত্তিতেই মামলা স্থানান্তরের নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। উচ্চ আদালত বলে, নোটিস দেওয়া সত্ত্বেও রাজ্য, অভিযোগকারী এবং অভিযুক্তরা আদালতে হাজির হয়নি। ৯ অগাস্ট এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি অভয় ওকা এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের বেঞ্চে আবেদন জানায় অভিযুক্তরা। তাদের তরফে আইনজীবী এফ আই চৌধরি জানান, অভিযুক্তদের যখন নোটিস দেওয়া হয় তখন তারা হাজতে। এতে বিস্মিত হয়ে বিচারপতি ওকা সিবিআইকে প্রশ্ন করেন, “আপনারা যখন নোটিস দেন তখন অভিযুক্তরা জেলে?” সিবিআইয়ের আইনজীবী তাতে হ্যাঁ বলেন। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, এই মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের যথাযথ নোটিশ দেওয়া হয়নি। তাই হাইকোর্টের আদেশ বাতিল করা হল। কারণ সিবিআই যখন নোটিশ দেয় তখন অভিযুক্তরা জেলবন্দি ছিল। নোটিশ তাদের বাড়ির ঠিকানায় দেওয়া হয়েছিল । এখানে সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন তোলেন যে কেউ জেলে থাকলে, তাকে নোটিশ জেল সুপারের মাধ্যমে দিতে হয়। কারণ সে তখন জেল সুপারের অধীনে রয়েছেন। নোটিশ কোনও আইন মেনে দেওয়া হয়নি। তাই হাইকোর্টের মামলা স্থানান্তরিত আদেশে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।