কলকাতা

পর্যটন কেন্দ্রে কড়াকড়ি কমাতে জেলা শাসকদের নির্দেশ নবান্নের

পর্যটকদের জন্য সুখবর৷ আরটিপিসিআর নয়, এবার থেকে করোনার র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ হলেই রাজ্যের যে কোনও পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে৷ এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য পর্যটন দফতর৷ সমস্ত জেলাশাসকদের চিঠি দিয়ে এই নির্দেশের কথা জানিয়ে দিয়েছেন পর্যটন সচিব নন্দিনী মুখোপাধ্যায়৷ তারাপীঠ, দিঘা, বকখালি থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশের জন্য পর্যটকদের করোনার আরটিপিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হচ্ছিল৷ সংক্রমণ রুখতে মূলত স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগেই এই নির্দেশিকাগুলি জারি করা হচ্ছিল৷ কিন্তু আরটিপিসিার টেস্টের খরচ এবং

ঝক্কি এড়াতে বহু পর্যটকই বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করছিলেন৷ ফলে লকডাউনের ধাক্কায় বিপর্যস্ত পর্যটন ব্যবসায়ী এবং হোটেল, লজ মালিকদের ক্ষতি আরও বাড়ছিল৷ পর্যটন এবং হোটেল মালিকরাই তাই দাবি করেছিলেন, র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ভিত্তিতেই পর্যটকদের আসার অনুমতি দেওয়া হোক৷ কারণ সেই রিপোর্ট ততক্ষণাৎ পাওয়া যায় এবং খরচও অনেক কম৷ কারণ তারাপীঠ, বকখালি, শান্তিনিকেতন, দিঘা, মন্দারমণি, কঙ্কালিতলা, দার্জিলিং’র মত একাধিক জায়গায় পর্যটকদের যেতে গেলে টিকার দুটি ডোজ কিংবা করোনার আরটিপিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক। তবেই মিলছে হোটেলের ঘর, পর্যটক

কেন্দ্রে ঘোরার অনুমতি। আর তাতেই কমছে পর্যটকদের ভিড়। যেহেতু রাজ্যে টিকার অভাব, অনেকেই করোনার দুটি টিকা পাননি, আবার আরটিপিসিআর টেস্ট করাতে প্রচুর টাকা বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে। তাই পর্যটকরা বিমুখ হচ্ছেন। আর এতে ফের ধাক্কা খাচ্ছে পর্যটন শিল্প। তাই গতকালই নবান্ন’র উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী নির্দেশ দিয়েছেন জেলা শাসকরা যেন একটু লাঘব করে বিধি নিষেধ। আরটিপিসিআর না করে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন এর নেগেটিভ রিপোর্টে জোর দিতে বলা হয়েছে। নাহলে করোনার কাঁটায় ধুঁকতে থাকা পর্যটন শিল্পে বড় ধাক্কা আসবে আর তাতে আখেরে ক্ষতি হবে রাজ্যের অর্থনীতিতে।