নন্দীগ্রামে ক্রমশই চড়ছে উত্তেজনার পারদ। সব সীমা ছাড়িয়ে বৃহস্পতিবার ফের রক্ত ঝরলো নন্দীগ্রামে। এদিন সোনাচূড়ায় সভা ছিল বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর। তাঁর সভার আগে তৃণমূল-বিজেপি বচসায় অশান্ত ওঠে এলাকা। সভায় এসে এই নিয়ে নিন্দা করায় তিনি সভাস্থল ছাড়ার পর ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। বচসা থেকে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দুই রাজনৈতিক দলের সদস্যরা। ঘটনার সূত্রপাত হয় শুভেন্দু অধিকারী সভায় আসার আগে। তিনি আসার আগেই ‘গো ব্যাক’ স্লোগান তোলেন স্থানীয় তৃণমূল সমর্থকরা। এর বিরোধিতা করলে তাঁদের সঙ্গে বচসা বাঁধে বিজেপি সমর্থকদের। এরপরই সভায় আসেন শুভেন্দু বাবু। তিনি এসে ঘটনার কথা শুনে নিন্দার সুরে এর নেপথ্যে তৃণমূলকেই দায়ী করে বলেন, তাঁকে আটকানোর জন্যই তৃণমূল এসব করাচ্ছে। এই কথা বলে সভাস্থল ছেড়ে তিনি চলে যাওয়ার পরই অশান্তির আঁচ বাড়ে সেখানে। খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় তৃণমূল-বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে। প্রথমে বিজেপি নেতা ও সমর্থকদের মাঠি নিয়ে মারমুখী হয়ে ওঠে। দিন-দুপুর এ যেন বিজেপির গুন্ডামী। তার পরেই হাতাহাতি ছাড়িয়ে লাঠালাঠিতে পৌঁছে যায় সংঘর্ষ। লাঠির আঘাতে আহত হন দুইপক্ষের প্রায় ৫ জন। মাথা ফেটে রক্ত ঝরে ২ জনের। তাঁদের নন্দীগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তৃণমূলেরও দাবি, আহত হয়েছেন তাঁদের পক্ষের ৪জন। পাশাপাশি বিজেপির দাবি, তাঁদের যুব মোর্চা সভাপতির মাথা ফেটেছে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেমেছে র্যাফ। শুভেন্দুর অভিযোগ, তাঁকে নন্দীগ্রামে আটকানোর জন্য তৃণমূল পরিকল্পিতভাবে এই আক্রমণ চালিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘সভার অনুমতি নেওয়া ছিল। তারপরেও এই পরিকল্পিত আক্রমণ। কিছু দুষ্কৃতী এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। এই রাজ্যে জঙ্গল রাজ চলছে। জনতাই এর জবাব দেবে। গরিবের টাকা মারে এই সরকার। এই সরকারকে বদলে ফেলতেই হবে।’