সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ভুয়ো খবর’ ছড়ানোর অভিযোগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আইনি নোটিস পাঠালেন গোরু ও কয়লা পাচারকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র। জানা গিয়েছে, নোটিসে বলা হয়েছে, নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে শুভেন্দু অধিকারী তাঁর এবং তাঁর পরিবারের সম্মানহানি করেছেন। একদিকে যখন পদ্ম শিবির ছেড়ে জোড়াফুল শিবিরে মুকুল রায় যাবার পর দলত্যাগের আগে বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেননি বলে তাঁকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। বাংলায় কেন দলত্যাগ বিরোধী আইন লাগু হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি অবিলম্বে এ রাজ্যে দলত্যাগ বিরোধী আইন লাগুর জন্য দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। ঠিক সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা প্রচারের অভিযোগে শুভেন্দু অধিকারীকে আইনি নোটিস পাঠালেন বিনয় মিশ্র। শুভেন্দু অধিকারীর টুইট করেন দিন চারেক আগে। টুইটে বিনয় মিশ্রর বিরুদ্ধে তাঁর ভারতীয় নাগরিকত্ব নেই বলে গুরুতর অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু অধিকারী। গত ১১ জুন ট্যুইট করেন। ট্যুইটে তিনি দাবি করেন, ২০১৮ সাল থেকেই বিনয় মিশ্র সম্ভবত ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব নিয়েছিলেন। ওই একই ব্যক্তিকে ২০২০ সালে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল। নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘একজন বিদেশি কি দেশের কোনও রাজনৈতিক দলের অংশ হতে পারেন ?’ টুইটে এই প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু অধিকারী। এই বিষয়েই এবার শুভেন্দু অধিকারীকে আইনি নোটিস পাঠালেন বিনয় মিশ্র। বিনয় মিশ্রর দাবি করেন, এই বিষয় আইনজীবীর মাধ্যমে বিনয় মিশ্র দাবি করেন, ২০২০ সালের ২৩ জুলাই তাঁকে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল। সেই সময় তিনি ভারতীয় নাগরিক ছিলেন। ২০২০ সালেক ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি দেশ ছাড়েন। তারপরই সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা শুরু করে বলে জানান বিনয় মিশ্র। তাঁর আরও দাবি, ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর তিনি ভারতের পাসপোর্ট জমা করে দেন। তাঁর আগেই তিনি তৃণমূলের পদও ছেড়ে ছিলেন বলে জানান বিনয় মিশ্র। এমনটাই জানা যাচ্ছে। বিনয় মিশ্র তাঁর আইনজীবীদের মাধ্যমে শুভেন্দু অধিকারীর ওই টুইটটি মুছে ফেলারও দাবি জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে, বিনয় মিশ্রের আইনজীবী চিঠি দিয়েছেন, লালবাজারের সাইবার ক্রাইম বিভাগেও। একইসঙ্গে টুইটার কর্তৃপক্ষকেও নোটিস দিয়ে ১১ জুনের টুইটটি মুছে ফেলারও দাবি জানানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, নোটিসে বলা হয়েছে, ওই টুইটের মাধ্যমে মিথ্যাপ্রচার ও ইমেজে কালি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। পাশাপাশি বিদ্বেশ ছড়ানোর চেষ্টারও অভিযোগ করেছেন বিনয় মিশ্র।