কলকাতা

‘সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই এই পরাজয়’, হারের পর মানলেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল

রবিবার সকালে গণনা শুরুর পর থেকেই ট্রেন্ড স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। প্রতি রাউন্ডে অন্তত ৩ হাজার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রিয়াঙ্কার চেয়ে এগিয়ে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছিলেন প্রিয়াঙ্কা। বেলা বাড়তেই হারের ব্যবধান আরও চওড়া হয়। সকাল থেকে ফাঁকা ছিল বিজেপির রাজ্যদপ্তর। হেস্টিংস কার্যালয়ও ছিল ফাঁকা। সকাল থেকে বিজেপি পার্টি দুই অফিস খাঁ খাঁ করছে।বিজেপির প্রথমসারির কোনও নেতাকেও দেখা যায়নি। বেলা বাড়তে আরও ফাঁকা হয়েছে বিজেপির দুই দপ্তর। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটে জয়ী হয়েছেন ভবানীপুরে।এরপরই বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল স্বীকার করে নিয়েছেন, সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই এই পরাজয়। এদিন ফল প্রকাশের পর প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘আমি স্বীকার করছি, আমাদের ভবানীপুরে সংগঠনের দুর্বলতা ছিল। ভোটে জেতার জন্য যে সংগঠনের প্রয়োজন হয়, তা আমাদের ছিল না। একজন নেতা কখনও জেতেন না, কখনও হারেন না। জেতে সংগঠন।’ তবে, জয়ের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা

জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। তবে, ভোটের দিনও যেভাবে রিগিংয়ের অভিযোগ তুলেছিলেন প্রিয়াঙ্কা, এদিনও সেই অবস্থান থেকে সরেননি তিনি। তাঁর অভিযোগ, ‘সংগঠনের জোরে জিতেছে তৃণমূল। কিন্তু সেই সংগঠন কী করে, তা আপনারা সবাই দেখেছেন ভোটের দিন। জায়গায়-জায়গায় রিগিং, নকল ভোটারদের এনে ভোট করানো সবই ছিল।’ প্রিয়াঙ্কার অবশ্য সংযোজন, ‘আমি ভবানীপুর ছেড়ে যাব না। ভবানীপুরের মানুষের পাশে থাকব।’  অবশ্য ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটে গোহারা হারার পরও প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘আমি ম্যান অফ দ্য ম্যাচ। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপুল শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েও আমি ২৫ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছি। আমি আমার কাজ তাই চালিয়ে যাব।’ প্রসঙ্গত, ভবানীপুরে প্রচারে গিয়ে একাধিকবার ধাক্কা খেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। কখনও ভোটাররা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়েছেন তো কখনও কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তখনই কার্যত ভোটের ফলাফলের চিত্র স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ফলপ্রকাশের অপেক্ষা ছিল। রাজনৈতিক মহল বলছে, লড়াইটাই ছিল অসম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ‘দুর্বল’ প্রার্থী ছিলেন প্রিয়াঙ্কা। একটি ওয়ার্ডেও লিড নিতে পারেননি বিজেপি প্রার্থী। এমনকী, অবাঙালি ভোটার অধ্যুষিত ওয়ার্ডেও এগিয়ে ছিলেন তৃণমূল নেত্রী। এর থেকেই কার্যত স্পষ্ট তৃণমূলনেত্রীর উন্নয়নেই ভরসা রেখেছে ভবানীপুরের বাসিন্দারা।