দেশে হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সেই আবহের মধ্যেই ভোট হচ্ছে বঙ্গে। ৪ দফা গেলেও এখনও বাকি আরও ৪ দফার ভোট। যদিও সূত্রের খবর ষষ্ঠ দফা থেকে বাকি ৩ দফার ভোট একসঙ্গে করার পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন। আর বাকি ভোটের আগে ৩টি সফরে মোট ৬টি সমাবেশ করার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। করোনার বাড়বাড়ন্তের জেরে সেই সভা কীভাবে সম্পন্ন হবে তা নিয়ে চিন্তায় বিজেপি। সেই ক্ষেত্রে পরিকল্পিত কর্মসূচি ঠিকঠাক ভাবে পালন করা যাবে নাকি তা নিয়েও চিন্তায় গেরুয়া শিবির। বদল আসতে পারে প্রচারের নিয়মেও। সেই সভা কী ভাবে করা যায় তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সতর্ক রাজ্য বিজেপি। মোদি, শাহ, রাজনাথের মতো প্রথম সারির কেন্দ্রীয় নেতাদের সংস্পর্শে যাঁরা আসেন তাঁদের সভার আগের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। এখন সেই নিয়মে আরও কড়াকড়ি করার চিন্তা করছে রাজ্য বিজেপি। কিন্তু সমাবেশে যোগ দেওয়া কর্মী, সমর্থকদের জন্যে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে? এই প্রশ্নের উত্তরে রাজ্য বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু জানান, ‘আপাতত শনিবারে যে দু’টি সমাবেশ রয়েছে তার আয়োজনে আমার সতর্ক রয়েছি। সর্বত্র পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্ক ও স্যানিটাইজার রাখা হচ্ছে। সমাবেশে স্বেচ্ছাসেবকদের বলা হয়েছে, সমাবেশে আসা মানুষেরা সকলেই যেন মাস্ক পরে থাকেন তা নিশ্চিত করতে হবে। আরও চিন্তা রয়েছে বিজেপি-র। ইতিমধ্যে পঞ্চম দফার ভোটের ৭২ ঘণ্টা আগে প্রচার পর্ব শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। বাকি থাকা দফাগুলির ক্ষেত্রেও একই সিদ্ধান্ত হলে মোদীর সফরসূচিতে বদল আনতে হতে পারে। আগামী ২১ এপ্রিল রাজ্যে প্রচারে আসবেন প্রধানমন্ত্রী। ওই দিন সমাবেশ হবে মালদহ ও মুর্শিদাবাদে। এর পরে ২৪ এপ্রিল দক্ষিণ কলকাতা ও বোলপুরে মোদির সমাবেশ হওয়ার কথা। কিন্তু ২৬ এপ্রিল সপ্তম দফার ভোটের ৭২ ঘণ্টা আগেও কমিশন প্রচার পর্ব বন্ধ করার নির্দেশ দিলে সেই সফরসূচিতেও বদল আনতে হতে পারে। বিজেপি সূত্রে খবর, মোদির সফর এক দিন এগিয়ে ২৩ এপ্রিলও হতে পারে অথবা দক্ষিণ কলকাতার পরিবর্তে ২৪ তারিখ মোদির সমাবেশ হতে পারে উত্তরে। কারণ, উত্তর কলকাতার ভোটগ্রহণ রয়েছে ২৯ এপ্রিল। সেই দিন আবার দক্ষিণ কলকাতায় শাহের রোড-শো রয়েছে। সেক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনা হতে পারে শাহের রোড-শোতে। আর এই আবহে কোন সভা কবে হবে বা আদৌ হবে কি না তা নিয়ে চিন্তায় রাজ্য বিজেপি।