ক্রাইম জেলা

আয়াকে সারারাত আটকে যৌন নির্যাতন, অভিযুক্ত বিজেপি নেতা স্পন্দন দাসকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে  পুলিশের হাতে তুলে দিলেন স্থানীয়রাই

আয়াকে সারারাত বাড়িতে আটকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ। অভিযোগ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। বিজেপি সেই নেতাকে ধরে গণপিটুনি দেয় এলাকাবাসী, এলাকায় উত্তেজনা, ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় ঘোলা থানার পুলিশ। এরপরেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পানিহাটি নাটাগর এলাকায় এক মহিলাকে আটকে রেখে তার ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে এলাকার বিজেপি নেতা স্পন্দন দাসের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, টালিগঞ্জের ওই মহিলাকে বাড়িতে আয়ার কাজ করানোর জন্য নিয়ে আসেন বিজেপি নেতা স্পন্দন দাস। আর বাড়িতে নিয়ে এসে তারপর থেকে সারারাত ধরে চলে যৌন নির্যাতন। ভোরবেলা মেয়েটি কোনওমতে বাড়ি থেকে পালিয়ে এলাকার মানুষকে বিষয়টি জানান। তারপর এলাকার মানুষ হাতেনাতে ধরে ফেলে বিজেপি নেতাকে। বিজেপি নেতা এলাকাবাসীর কাছ থেকে পালানোর চেষ্টা করলে, রাস্তায় ফেলে ব্যাপক মারধর করেন তাঁকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে আসে ঘোলা থানার পুলিশ। অভিযুক্ত বিজেপি নেতাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় ঘোলা থানার পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত স্পন্দনের বাড়ি নাটাগড় রামকৃষ্ণপল্লিতে। এলাকায় বিজেপি নেতা হিসেবে পরিচিত। নিজেকে আইনজীবী হিসেবে জাহির করতেন। অসুস্থ মায়ের দেখাশোনার জন্য স্পন্দন দক্ষিণ কলকাতার একটি আয়া সেন্টারে যোগাযোগ করেছিলেন।  ওই সেন্টার থেকে আয়া হিসেবে এক যুবতীকে পাঠানো হয়। তাঁর বাড়ি টালিগঞ্জ এলাকায়। বুধবার সন্ধ্যায় সোদপুর স্টেশন থেকে ওই বিজেপি নেতা তাঁকে বাইকে চাপিয়ে বাড়িতে আনেন। কিন্তু ওই যুবতী এসে দেখেন, বাড়িতে অসুস্থ কোনও মহিলা নেই। তিনি বাড়ি ফিরতে চাইলেও, তাঁকে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। এরপর রাতভর মদ্যপ অবস্থায় ওই বিজেপি নেতা তাঁর উপর শারীরিক নির্যাতন চালান বলে অভিযোগ। এমনকী যুবতীর আর্তচিৎকার কেউ যাতে শুনতে না পায়, তাই ফুল ভল্যুমে মিউজক সিস্টেম চালিয়ে রাখেন। একসময়ে ওই বিজেপি নেতা মদের ঘোরে বেকাবু হয়ে পড়লে, ওই আয়া রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ ঘরের দরলা খুলে বেরিয়ে স্থানীয় একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। এদিন দুপুরে পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিগৃহিতা যুবতীর মেডিক্যাল টেস্ট করা হয়। ওই নিগৃহীতা বলেন,  জোর করে আটকে রেখে সারা রাত মদ খেয়ে চরম অত্যাচার করেছেন ওই লোকটা। কাজ করতে এসে এমন অত্যাচারের শিকার হব, স্বপ্নেও ভাবিনি। এমন পিশাচের কঠোর সাজা চাই। নির্যাতিতার সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা তুলিকা দাস সহ আরও অনেকে।