কলকাতা

কোভিড বিধি উড়িয়ে ‘পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও দিবস’ কর্মসূচি নামে গেরুয়া বাহিনীর দাদাগিরি, গ্রেপ্তার শুভেন্দু-দিলীপ

করোনা বিধিনিষেধকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সোমবার শহরে কব্জির জোর দেখাল গেরুয়া বাহিনী। বিজেপি-র ‘পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও দিবস’ কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার মেয়ো রোড। কোভিড পরিস্থিতিতে অবৈধ জমায়েতের কারণে ওই কর্মসূচি থেকে গ্রেফতার হলেন বঙ্গ বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী। সোমবার সকালেই ধর্মতলা চত্বর থেকে সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এবং প্রাক্তন বিধায়ক শিলভদ্র দত্তকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। আর এরপরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারীরা। গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীকেও। আসেন বঙ্গ বিজেপির একাধিক শীর্ষ নেতারাও। তাঁদেরকেও একে একে মহামারী আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে ব্যাপক উত্তেজনা। বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে ঘটনাস্থলে। কলকাতা পুলিশের দক্ষতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পুলিশের দাবি, কোনও অনুমতি দেওয়া হয় বিজেপিকে। ফলে কোভিড পরিস্থিতিতে কোনও কর্মসূচি করতে দেওয়া যাবে না বলে অভিযোগ। জানা যায়, খেলা দিবসের পাল্টা পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও কর্মসূচি পালনের ডাক দেওয়া হয়। সেই মতো সকাল থেকে চলছিল প্রস্তুতি। রানি রাসমণি রোডে এই জমায়েত শুরু হয়। কিন্তু হঠাত করেই বিশাল পুলিশবাহিনী গোটা এলাকা ঘুরে ফেলে। শুধু তাই নয়, একের পর এক বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এবং প্রাক্তন বিধায়ক শিলভদ্র দত্তকে গ্রেফতার করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। মহামারী আইনে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। এই ঘটনার পর কিছুটা কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনে বিজেপি। কার্যত সকাল থেকে রানি রাসমণিতে পুলিশের তরফে সবরকম ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন বিজেপি নেতারা। যোগ দেন দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, জয় প্রকাশ মজুমদার সহ একাধিক বিজেপি নেতা। ছিলেন বিজেপি নেত্রী দেবশ্রী চৌধুরীও। ধর্নার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়। আর এই অবস্থায় পুলিশকে বাধা দেয় শুভেন্দু, দিলীপ ঘোষের সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী। কার্যত ধ্বস্তাধস্তি বেঁধে যায় দুপক্ষের মধ্যে। শেষমেশ পুলিশের চাপে বেশ বাসে উঠতে বাধ্য হন বিজেপি নেতারা। জানা গিয়েছে, লালবাজারে শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ সবাইকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মহামারী আইনে তাঁদের বিরুদ্ধেও মামলা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।