জেলা

শুভেন্দুর গড়েই বড় ধাক্কা, ২ জয়ী সদস্য শিবির ছাড়ায় খেজুরি পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া বিজেপির

বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতায় গড়া পঞ্চায়েত সমিতি ফের দখল নিল তৃণমূল কংগ্রেস। শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে এ যেন উলট পুরাণ। পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি বিধানসভার খেজুরি ২ পঞ্চায়েত সমিতি চলে গেল তৃণমূলের দখলে। এই পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপির এক জয়ী সদস্য ও এক সদস্যা আজ আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগদান করেন। তাতেই তৃণমূলের দখলে চলে আসে ওই পঞ্চায়েত সমিতি। খেজুরি ২ পঞ্চায়েত সমিতি নির্বাচনের পর সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বিজেপির দখলে এসেছিল। মোট ১৫টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছিল ৯টি। তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করেছিল ৬টিতে। ঠিক বোর্ড গঠনের আগেই দেখা গেল উলট পুরাণ। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপির ২ সদস্য। বিজেপি থেকে জয়লাভ করা তথা খেজুরিতে ৩ বারের মন্ডল সভাপতি উদয় শঙ্কর মাইতি ও পিপাসা দাস দুজন বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন। খেজুরি বিধানসভা বিজেপির দখলে গিয়েছে। একের পর এক গ্রাম পঞ্চায়েত গিয়েছে বিজেপির দখলে। সেই জায়গায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংশয় প্রকাশ করে বলেছিলেন প্রশাসনিক বৈঠকে এসে পূর্ব মেদিনীপুরে, খেজুরি ঠিক নেই। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী খেজুরিতে এসে বিগত কয়েক মাস আগে জনসভা করেছেন। সেই ঠিক নেই খেজুরিতে অর্থাৎ একেবারে শুভেন্দু অধিকারীর গড় যাকে বলা হয়, সেখানেই একেবারে উল্টো কাণ্ড। এনিয়ে এলাকায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। বিজেপির মন্ডল সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতি থেকে নির্বাচিত তৃণমূলের যোগদানকারী উদয় শঙ্কর মাইতি জানিয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতিতে তার জয় হয়েছে তৃণমূলের ভোটে। বিজেপির অন্দরে অনেক রেষারেষি, তাকে বিজেপির বেশ কিছু সুবিধাবাদী নেতা হারানোর চেষ্টা করেছিল। যে গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল জয় লাভ করেছে অথচ সেই গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে তিনি বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী হয়ে জয় লাভ করেছেন অর্থাৎ স্বাভাবিকভাবে তাকে তৃণমূল কংগ্রেস জিতিয়েছে। তাই তিনি তৃণমূলকে সম্মান জানাতে এমন যোগদান করলেন। শুধু তাই নয় তিনি আরো বলেন বিজেপির বিধায়ক শান্তনু প্রামানিক তিনি বিচার জানেন না মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন। এলাকাকে সন্ত্রাস কবলিত করে রেখেছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন।