করোনা পরিস্থিতিতে পুজো কমিটিগুলি স্পনসর পায়নি। তাই তাদের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দিচ্ছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি, এবার পুজো করার জন্য বিদ্যুত ও দমকলের লাইসেন্স লাগবে না। পুজোয় বিদ্যুতের বিলে ৫০ শতাংশ ছাড়া দেওয়া হবে। মঙ্গলবার এমনটাই ঘোষণা করেন মুখ্যসচিব। রাজ্যের এই ঘোষণের পরই এনিয়ে নির্বাচন কমিশনে দরবার করছে রাজ্য বিজেপি। রাজ্য বিজেপির তরফে নির্বাচন কমিশনে দেওয়া এক চিঠিতে লেখা হয়েছে, শুধুমাত্র কলকাতায় ২৫০০ কমিটিকে ওই সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্য স্পষ্ট। লক্ষ্য পুজো কমিটিগুলিকে তুষ্ট করা। কারণ এইসব ক্লাবগুলি
ভোটে রাজ্য সরকারের পক্ষে একটি বড় ভূমিকা নিয়ে থাকে। এবার উপ নির্বাচনে প্রার্থী খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই ভোটের মুখে, এসব করে ভোটে ফয়দা তুলেত চাইছে তৃণমূল সরকার। বিজেপি-র প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিশির বাজোরিয়া। সুকান্ত বলেন, ”সাত দিন হয়েছে নির্বাচনের দিন ক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে। তারই মধ্যে বিধিভঙ্গ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আসলে জেতার জন্য তাঁকে ঘুষ দিতে হচ্ছে। আমার আশা করেছিলাম তিনি স্বচ্ছতার সঙ্গে নির্বাচনে লড়বেন।” প্রতাপ জানান, বিষয়টি নিয়ে বুধবার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনেও যাবে বিজেপি।