দেশ বিবিধ

দিল্লির পর গুজরাতেও হানা দিল ব্ল্যাক ফাঙ্গাস, আশঙ্কিত চিকিৎসকরা!

দিল্লির পর এবার গুজরাতের হাসপাতালেও ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ! আমেদাবাদের হাসপাতালে ৬৭ জন কোভিড রোগীর শরীরে এই মারণ ব্ল্যাক ছত্রাকের উপস্থিতির কথা জানা জানালেন চিকিত্‍সকরা। বিজে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারী প্রফেসর ডঃ কল্পেশ প্যাটেল জানালেন, এখনও ৪৫ জনের অস্ত্রোপচার করা বাকি। রোজ পাঁচ থেকে সাতজনের অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে। কেন একে নিয়ে এত আশঙ্কিত চিকিত্‍সকরা? নামী পালমোনোলজিস্ট (ফুসুফুসের রোগ বিশেষজ্ঞ) ডঃ বিকাশ মৌর্য জানাচ্ছেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস হল এক বিরল ছত্রাক সংক্রমণ। প্রকৃতিতেই ভিজে, স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে বাস করে তা। এর আরেক নাম মিউকরমাইকোসিস। ডায়বেটিসে আক্রান্ত, অঙ্গ প্রতিস্থাপিত হয়েছে অথবা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এমন মানুষের শরীরে বাসা বাঁধে এই ছত্রাক। মূলত সাইনাস, মস্তিষ্ক এবং ফুসফুসকে আক্রমণ করে তা।

কী কী লক্ষণ?

১) মুখ এবং চোয়াল অসাড় হয়ে যাওয়া।
২) নাকের যে কোনও একদিক বন্ধ হয়ে যাওয়া।
৩) চোখে যন্ত্রণা এবং ফোলা ভাব।
৪) পালমোনারি মিউকরমাইকোসিসের ক্ষেত্রে জ্বর, কাশি, বুকে ব্যথা এবং শ্বাসকষ্ট।

চিকিত্‍সা কী?

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে চিকিত্‍সক কুলের এত ভয়ের কারণ এর মৃত্যুহার। ৩০ থেকে ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে রোগীর মৃত্যু হয়। এই রোগে অস্ত্রোপচার এবং ধমনীর মাধ্যমে ওষুধ ব্যবহারই চিকিত্‍সা। তবে কোভিদ রোগীদের অক্সিজেন দেওয়ার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সতর্ক থাকার কথা বলছেন ডঃ মৌর্য। অক্সিজেন সিলিন্ডারের সঙ্গে থাকে একটি জলের পাত্র যাকে আর্দ্রতা প্রদান করে। কিন্তু অতিরিক্ত আর্দ্রতাতেই আরামে থাকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। তাই এ ব্যাপারে খুবই সচেতন থাকা প্রয়োজন।
আরও একটি জানার বিষয় এই যে, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস মানুষ থেকে মানুষে, পশু থেকে পশুতে অথবা পশু থেকে মানুষে বাহিত হয় না। একমাত্র প্রকৃতি থেকেই সংক্রামিত হয়।

প্রতীকী ছবি।