অল্পসংখ্যক পড়ুয়া থাকা স্কুলগুলিকে মিলিয়ে দেওয়া অর্থাৎ, মার্জ করে দেওয়ার কথা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু৷ ব্রাত্য বসু বলেন, “অনেক স্কুলেই ছাত্রছাত্রী নেই ৷ ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে আমার এই বিষয় কথা হয়েছে ৷ ওঁর এলাকার দু’টি স্কুলকে মার্জ করানো হবে ৷ এমন আরও বেশ কিছু স্কুলকে মার্জ করানো হবে ৷ তবে, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের কাজ নির্ভুল আমি বলতে পারি না ৷ তাই ওই রিপোর্ট আমাকে দেখতে হবে ৷” উল্লেখ্য, প্রাথমিক-উচ্চ প্রাথমিকস্তরে গতবারের থেকে এবছর স্কুল ছুটের সংখ্যা কমেছে ৷ কিন্তু, মাধ্যমিকস্তরে তা প্রায় নয় শতাংশ বেড়েছে ৷ এর কারণ হিসেবে কেন্দ্রকেই দায়ী করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ৷ তিনি বলেন, “আমরা কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেছিলাম দশম শ্রেণি পর্যন্ত মিড-ডে মিলের ব্যবস্থা করতে ৷ কারণ, অনেক সময় হয় অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত তারা খাবার পায় স্কুলে ৷ নবম-দশম শ্রেণীতে স্কুলে আর খাবার পায় না ৷ সেক্ষেত্রে অনেক গরিব পরিবারেই সমস্যা তৈরি হয় ৷” তবে তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের রিপোর্টের ভিত্তিতে রাজ্য সরকার কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না ৷ কমসংখ্যক পড়ুয়া থাকা স্কুলগুলিকে মেলানোর আগে শিক্ষা দফতর নিজেরা একটি সমীক্ষা করছে ৷ সেই সমীক্ষার কাজও শেষের পথে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ৷ কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে পাশে নিয়ে তিনি বলেন, “ববির (ফিরহাদ হাকিম) সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে ৷ ওঁর এলাকার দু’টি স্কুল মার্জ করে দেওয়া হবে ৷” সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রকের একটি সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ্য হয়েছে ৷ কেন্দ্রের সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্তরে স্কুলছুটের হার শূন্য ৷ কিন্তু, মাধ্যমিকস্তরে অর্থাৎ, নবম-দশমে স্কুলছুটের হার 17.85 শতাংশ ৷ কিন্তু, কেন্দ্রের এই সমীক্ষাকে পুরোপুরি ভরসা করছে না রাজ্য সরকার ৷ তাই রাজ্যের শিক্ষা দফতর ইতিমধ্যে একটি সমীক্ষা শুরু করেছে ৷ যেখানে দেখা হবে, স্কুল প্রতি পড়ুয়া ও শিক্ষক কত রয়েছে ৷ সেই অনুপাতে অল্পসংখ্যক পড়ুয়া ও শিক্ষক থাকা স্কুলগুলিকে মিলিয়ে দেওয়া হবে ৷